ফিরহাদ হাকিম।—ফাইল চিত্র।
অমিত শাহ মালদহে দাঁড়িয়ে এ রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতের হুমকি দিয়েছেন। মঙ্গলবার তারই পাল্টায় তৃণমূল জানাল, বিজেপি নেতাদের কথার কোনও গুরুত্ব নেই। মানুষ তাঁদের কথা শুনে হাসে।
এ দিন মালদহে তৃণমূলের ব্যর্থতা তুলে ধরে বিজেপি-র ‘সেকেন্ড ইন কমান্ড’ অমিত শাহ হুঙ্কার দিয়েছেন।তাতে লোকসভা ভোটের আগে অনেকটাই উজ্জীবিত বঙ্গের বিজেপি নেতারা। অমিত এ দিন বলেছেন, “রাবণের শাসন ধ্বংস হয়েছে। এ তো মমতার শাসন! এই সরকারের গণেশ উল্টে দিতে এসেছি। গণতন্ত্রের হত্যাকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে উপড়ে ফেলতে হবে।”
অমিতের ভাষণ শুনে তৃণমূলের প্রথমসারির নেতারা চুপ করে বসে নেই। এ দিন বিকেলে তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছিলেন, ‘‘বিজেপি ভারতের সংস্কৃতি সম্পর্কে কিছু জানে না। ওদের দিন শেষে হয়ে এসেছে।’’ সন্ধ্যায় আরও এক ধাপ এগিয়ে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ববি) বললেন, “ওঁদের রাজত্বে ‘এনকাউন্টার’ হচ্ছে। পিটিয়ে মারা হচ্ছে।’’ এর পর মোদীর নাম না করে তিনি বলেন,‘‘ওঁর তো ৫৬ ইঞ্চি ছাতি। ‘রেসলার’ হওয়ার কথা, ‘বাইচান্স পলিটিশিয়ান’ হয়েছে। অসমে গেলে আমাদের আটকানো হয়। এখানে গণতন্ত্র রয়েছে বলেই, মালদহে ভাষণ দিচ্ছেন।’’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘‘ভুলভাল বকছেন। বাংলার মানুষ হাসছে। বাড়ি চলে গেলে, মানুষও সব ভুলে যাবে।’’
আরও পড়ুন: মমতা সরকারকে উপড়ে ফেলব: শাহ, বিজেপির দিন শেষ, পাল্টা বলল তৃণমূল
আরও পড়ুন: রাজীব গাঁধীর ‘১৫ পয়সা’ তত্ত্ব তুলে কংগ্রেসকে বিঁধলেন মোদী
বাংলায় সপ্তম বেতন কমিশন কেন লাগু হচ্ছে না, সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অমিত। জবাবে ফিরহাদ বললেন, “আগে ১৫ লাখ টাকা করে প্রত্যেকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিক। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দু’লক্ষ চাকরি দিক। তার পরে এখানে সপ্তম বেতন কমিশন নিয়ে কথা বলবে। কোনও দিন ক্ষমতায় আসবে না। সম্ভাবনাই নেই।”
বাংলায় সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিতে হয় বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। অমিতের কথায়, “মমতার লোকই অর্ধেক খেয়ে নেয়। এই সরকারকে গদিচ্যুত করুন।”ফিরহাদ পাল্টা বলেছেন, “গুজরাতে যতদিন নরেন্দ্র মোদী ছিলেন, সেখানে সিন্ডিকেট ট্যাক্স লাগত। আর যেখানে অমিত শাহ-এর ‘রাজত্ব’ চলে সেখানে লাগে। ফাইভ স্টার পার্টি অফিস হয় সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিয়ে।” সরকারি প্রকল্প নিয়ে অমিতের কটাক্ষেরও জবাব দিয়েছেন। তাঁর কথায়: “কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামে আমরা মোদী প্রচার করতে দেব না। কেন বিজেপি মার্কা ছবি থাকবে? ওঁর নাম করে যে রাজনীতি করছে, তাতে আপত্তি রয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy