নিজস্ব চিত্র।
সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। সেই ভোটের দিকে তাকিয়ে হাওড়া শহরের অবাঙালি প্রধান এলাকাগুলিতে ছট উৎসব ঘিরেও রাজনৈতিক তৎপরতা দেখা গেল তৃণমূল ও বিজেপি-র মধ্যে। এটা দেখে জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের বক্তব্য, অবাঙালি ভোট নিজেদের দিকে টানারই চেষ্টা চালাল দুই রাজনৈতিক দল। প্রসঙ্গত, হাওড়া সদরে প্রায় ৩০ শতাংশ হিন্দিভাষী ভোট রয়েছে। এদের বেশির ভাগই উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে কয়েক প্রজন্ম আগে বাংলায় এসে এখন রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা।
শুক্রবার ছট পুজো উপলক্ষে সকাল থেকেই হাওড়ায় গঙ্গার ঘাটগুলিতে সাফাই কাজ চলে। হাওড়া পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসনের কর্মীরা ছাড়াও হাত লাগান রাজনৈতিক দলের নেতা, কর্মীরা। তাঁদের কোথাও ঝাঁটা হাতে গঙ্গার ঘাট পরিষ্কার করতে দেখা গিয়েছে। কোথাও আবার পাইপ দিয়ে জল ছড়িয়ে ঘাটের কাদা সরাতে দেখা গিয়েছে।
এ দিন সব ঘাটেই মাইক এবং আলোর ব্যবস্থা করে প্রশাসন। রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী তথা অরূপ রায় বিকেলে শিবপুরের রামকৃষ্ণপুর ঘাট এবং তেলঘাট পরিদর্শনে যান। সেখানে হিন্দিভাষী পুণ্যার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেও দেখা যায় তাঁকে। করোনা পরিস্থিতিতে সকলে যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে নির্দেশও দেন তিনি। গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনের পর তিনি চলে যান স্থানীয় একটি বহুতলে। সেখানে ছাদের উপর জলাধার করা হয়েছিল। সেখানেই পুজোর অর্ঘ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: নেতাজির মতোই কোণঠাসা করার চেষ্টা বাঙালি মমতাকে: ব্রাত্য
ছট পুজোর দিন হাওড়ায় বিজেপির তৎপরতাও চোখে পড়েছে। কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য উমেশ রাইকে হাওড়ার লবণ গোলাঘাট পরিষ্কার করতে দেখা যায়। সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘গত দু’বছর হাওড়া পুরনিগমে কোনও নির্বাচিত বোর্ড নেই। ফলে নাগরিক পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন মানুষ। গঙ্গার ঘাটগুলিও ঠিক ভাবে পরিষ্কার করা হয় না।’’
আরও পড়ুন: মেঠো কবাডি থেকে সবুজ গল্ফ কোর্সে, নব্য অবতারে ময়দানে নয়া দিলীপ
বিজেপি নেতা উমেশের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অরূপ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘পুজোর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলা হল মিনি ইন্ডিয়া। এখানে সব ধরনের উৎসবে তৃণমূল মানুষের সঙ্গে থাকে। ছট পুজোয় ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।’’ তাঁর বক্তব্য, হিন্দিভাষী ভোট পাওয়ার জন্যই ছট পুজোয় তৃণমূল সহযোগিতা করছে এমনটা ভাবা ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy