হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি তৃণমূল ছাড়ছেন না। তবে দলের ব্যবহারে ‘দুঃখ’ পেয়েছেন। শুক্রবার এমনটাই দাবি করলেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসূনের দাবি, জেলায় দলীয় পদে রদবদলের খবর তাঁকে জানতে হচ্ছে সাধারণ কর্মীদের কাছ থেকে। শীর্ষনেতৃত্বের কাছ থেকে সে খবর পাচ্ছেন না। তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে দলের তরফে কোনও পরামর্শ চাওয়া বা যোগাযোগ করা হচ্ছে না। গোটা বিষয়ে নিজের ‘মনখারাপের’ কথা শুনিয়েছেন ‘অভিমানী’ প্রসূন। তিনি বলেন, ‘‘আমাকে তো একটা এসএমএস করে জানাতে পারে যে হাওড়া জেলায় অমুক এই পদে বসছেন! পার্টির কর্মী আমাকে সে খবর দিচ্ছেন। দল থেকে ওই খবর পাচ্ছি না। এইটুকুই দুঃখ।’’
তবে দলের এই ব্যবহারে খানিকটা ‘বেসুরো’ শোনালেও তৃণমূল ছাড়ার যাবতীয় জল্পনা উ়ড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। উল্টে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলই যে ক্ষমতায় আসছে, সেই দাবি করেছেন তিনি। প্রসূনের মন্তব্য, ‘‘ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই মুখমন্ত্রী হচ্ছেন এবং আমরাই জিতছি। এটা আমার চ্যালেঞ্জ।’’
আরও পড়ুন: দিল্লি যাচ্ছেন না, অভিষেকের সঙ্গে বৈঠকের পর ‘সন্তুষ্ট’ শতাব্দী বললেন
শাসক দলে প্রসূনের থাকা নিয়ে দিন কয়েক আগেই ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করেছিলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। ১৩ জানুয়ারি হাওড়া ময়দানের একটি সভা থেকে প্রসূনের নামোল্লেখ না করে সৌমিত্র বলেছিলেন, ‘‘হাওড়ার এক প্রাক্তন ফুটবলার এবং সাংসদ বিজেপি-তে যোগ দিতে পারেন। তিনি তাঁর দলে থাকবেন কি না, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।’’ এর পরই প্রসূনের দল ছাড়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। তবে শুক্রবার সেই সব জল্পনা উড়িয়ে প্রসূনের দাবি, ‘‘আমি পার্টি ছেড়ে পালাব না। এমন তো সৌমিত্র খাঁ সব সময়ই বলে। ও বাচ্চা ছেলে। তবে এই বালখিল্যটা না করলেই পারে। আমার তো একটা সম্মান রয়েছে!’’
আরও পড়ুন: ‘জয় শ্রীরাম’ নিয়ে বিতর্ক, টুইট-যুদ্ধে অবিরত যুযুধান সায়নী-তথাগত
তৃণমূলে থাকলেও দলের ব্যবহারে তিনি দুঃখ পেয়েছেন বলেই দাবি প্রসূনের। এ নিয়ে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। সৌমিত্র খাঁ তাঁর দলবদলের ইঙ্গিত দিলেও প্রসূনের দাবি, ‘‘কে সৌমিত্র খাঁ? তাঁর সঙ্গে কোনও যোগাযোগই হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy