বেহালার এই বিমানবন্দরেও থাকতে পারে ভাড়ার বিমান।
লোকসভা নির্বাচন সামনেই। এই অবস্থায় নিজেদের জন্য ছোট বিমান নিয়ে আসছে তৃণমূল সরকার। ঠিক হয়েছে, সাত থেকে ন’জন যাত্রী বহনে সমর্থ দুই ইঞ্জিনের প্রপেলার বিমান দীর্ঘ মেয়াদে ভাড়া নেওয়া হবে।
মহারাষ্ট্র, গুজরাতের মতো অনেক রাজ্যেরই বিমান রয়েছে। কোথাও সেই বিমানের মালিক রাজ্য সরকার। কোথাও বা তা নেওয়া আছে ভাড়ায়। সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা রাজ্যের নিজস্ব বিমানে যাতায়াত করেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের এমন কোনও বিমান ছিল না। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন জ্যোতি বসু হেলিকপ্টার ভাড়া করে ঘুরতেন। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও হেলিকপ্টার ব্যবহার শুরু করেন, বিশেষ করে নির্বাচনের সময়ে। তবে সেই কপ্টার রাজ্যের নিজস্ব নয়।
রাজ্য যে-বিমান ভাড়া নিচ্ছে, ভোটের সময় তা মুখ্যমন্ত্রীর সফরে ব্যবহার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রচারের প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যের বাইরে যেতে হলে তখনও তিনি ওই বিমান ব্যবহার করতে পারেন। তবে পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, বালুরঘাট ও মালদহ বিমানবন্দর খুব শীঘ্রই তৈরি হয়ে যাবে। কোচবিহার ও দুর্গাপুরে বিমানবন্দর তৈরি হয়ে পড়ে আছে। ভাড়ায় আনা বিমানকে সেই সব বিমানবন্দর থেকে যাত্রী বহনের কাজে ব্যবহার করা হবে।
কেন্দ্রীয় সরকারের রিজিওনাল কানেক্টিভিটি স্কিম (আরসিএস)-এ কোচবিহার, দুর্গাপুর থেকে উড়ান চালানোর কথা ছিল ডেকানের। কিন্তু এখনও সেই উড়ান চালু হয়নি। কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, বিমান পাওয়া যায়নি। তৃণমূল সরকার বিমান ভাড়া করে রাজ্যের ছোট রুটে বিকল্প উড়ান পরিষেবা চালু করতে চাইছে। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইচ্ছুক সংস্থাগুলি যাতে আবেদন করতে পারে, সেই জন্য গত ২৯ জুন জন্য দরপত্র ছাড়ে রাজ্য। বিমানের জ্বালানি, পাইলট ও সেবিকা, এমনকি রক্ষণাবেক্ষণ— সব কিছুরই দায়িত্বে থাকবে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থা। সেই অনুযায়ী ভাড়া নির্ধারিত হবে।
দরপত্রে টেকনিক্যাল এবং আর্থিক বিষয়ে আলাদা আলাদা তথ্য চাওয়া হয়েছে। গত ১৯ জুলাই, দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনের মধ্যে বেশ কিছু দরপত্র জমা পড়েছে। এক কর্তার কথায়, ‘‘দরপত্র খুলে প্রথমে দেখা হবে, টেকনিক্যাল শর্তগুলি (দু’টি ইঞ্জিন, সর্বোচ্চ ৫৭০০ কিলোগ্রাম ওজন এবং আরও কিছু বিষয়) কারা কারা পূরণ করতে পারছে। পরে সেই সব সংস্থার জমা দেওয়া আর্থিক বিষয়ক খাম খোলা হবে। দু’টি মিললে তবেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে বিমান নেওয়া হবে ভাড়ায়।’’
ভাড়ার বিমান কলকাতা বিমানবন্দর না বেহালা, কোথায় রাখা হবে, সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy