আধার কার্ডের ঠিকানা বদল করতে আর লম্বা লাইনে দাঁড়ানো নয়। ঘরে বসে স্মার্টফোন দিয়েই এই কাজ সেরে নিতে পারবেন গ্রাহক। এর জন্য প্রথমেই এম-আধার অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে তাঁকে। পাশাপাশি হাতের কাছে রাখতে হবে ঠিকানার প্রমাণপত্র বা জেপিজি ফাইল। এর জন্য বিদ্যুতের বিল, রেশন কার্ড বা পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন সংশ্লিষ্ট গ্রাহক।
এম-আধার অ্যাপ ডাউনলোড হয়ে গেলে তাতে লগ ইন করতে হবে। এর জন্য লাগবে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড বা ওটিপি। আধারের সঙ্গে যে মোবাইল নম্বরটি লিঙ্ক করা রয়েছে, সেখান থেকে তা পাবেন গ্রাহক। লগ ইন হয়ে গেলে ১২ ডিজিটের আধার নম্বর দিয়ে তাঁকে খুলতে হবে মাই আধার ট্যাব। এর পর দ্বিতীয় বার একই পদ্ধতিতে দিতে হবে ওটিপি। সেই প্রক্রিয়া শেষ হলে মাই আধার ট্যাবে ঢোকার অনুমতি পাবেন গ্রাহক। সেখানে আপডেট অ্যাড্রেস অনলাইন বা অ্যাড্রেস আপডেট রিকোয়েস্ট ভায়া ডকুমেন্ট অপশন দেখতে পাবেন তিনি।
এর পর গ্রাহককে সেখানে ঢুকে বাড়ির নতুন ঠিকানা লিখতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইংরেজি এবং বাংলা দু’টি ভাষার সুবিধা পেতে পারেন গ্রাহক। তবে এর মধ্যে ইংরেজি ভাষায় ঠিকানা লেখা বাধ্যতামূলক। এই প্রক্রিয়া শেষ হলে পিডিএফ বা জেপিজি ফরম্যাটে যে ঠিকানার প্রমাণপত্রটি রয়েছে, সেটা আপলোড করে দিতে হবে। সব শেষে সাবমিট অপশানে ক্লিক করলেই জমা হয়ে যাবে আবেদনপত্র। প্রক্রিয়াটি শেষ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে বদলে যাবে ওই গ্রাহকের আধার কার্ডের ঠিকানা।
এই কাজ করার সময় দু’টি বিষয় মাথার রাখতে হবে। ঠিকানা লেখার সময় কোনও বানান ভুল হলে চলবে না। এ ছাড়া পিডিএফ বা জেপিজি ফাইলটিকে পরিষ্কার ভাবে আপলোড হতে হবে। সেখানকার লেখা পড়া না গেলে আবেদন বাতিল হতে পারে। সাবমিটে ক্লিক করার পর স্ক্রিনে ফুটে উঠবে আপডেট রিকোয়েস্ট নম্বর বা ইউআরএন। গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট নম্বরটি লিখে রাখতে হবে। আধার কার্ডের ঠিকানা বদল হল কি না, তা জানতে দু’সপ্তাহের মাখায় মাই আধার অ্যাপে ফের লগ ইন করে তা যাচাই করে নিতে পারেন তিনি। সে ক্ষেত্রে ইউআরএন লাগবে।
আরও পড়ুন:
তবে গ্রাহক ইচ্ছা করলে কোনও ঠিকানার প্রমাণপত্র না দিয়েও এই কাজ করতে পারেন। এর জন্য অ্যাড্রেস ভেরিফিকেশন লেটার জমা করতে হবে তাঁকে। লাগবে এক জন অ্যাড্রেস ভেরিফায়ার। তাঁর বাড়ির ঠিকানা অনায়াসেই ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহক। আধারের সঙ্গে মোবাইল নম্বর লিঙ্ক করা থাকলে তবেই এই কাজ করা যাবে।