আইফোন নির্মাণকারী মার্কিন টেক জায়ান্টের নাম কী ভাবে হল অ্যাপ্ল? এই নিয়ে রয়েছে মজার একটি কাহিনি। সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জোব্স এবং স্টিভ ওজ়নিয়ক সহজ একটি নাম খুঁজছিলেন। শেষ পর্যন্ত দু’টি নাম ঠিক করেন তাঁরা। সেগুলি হল, এক্জ়িকিউটেক এবং মেট্রিক্স ইলেকট্রনিক্স। কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় থমকে যান জোব্স। ফলে শেষ মুহূর্তে বদলে যায় নাম।
সংস্থার নাম কী হবে, তাই নিয়ে যখন মাথার চুল ছিঁড়ছেন ওজ়নিয়ক, ঠিক তখনই কিছু দিনের জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অর্গানিক ফার্মে সময় কাটাতে চলে যান জ়োবস। সেখানে প্রকৃতির কাছে থেকে কোম্পানির নামকরণ খুব সহজ করবেন বলে ঠিক করে ফেলেন তিনি। দুই প্রতিষ্ঠাতারই যুক্তি ছিল, এক্জ়িকিউটেক এবং মেট্রিক্স ইলেকট্রনিক্স নামগুলি বড় বেশি খটোমটো। এর সঙ্গে কর্পোরেট দুনিয়ার ছোঁয়া রয়েছে। কিন্তু, জোব্স চাইছিলেন নামের মধ্যে থাকুক একটা প্রকৃতির গন্ধ। তা হলে সকলেই সেটা পছন্দ করবেন।
দ্বিতীয়ত, সংস্থার প্রতিষ্ঠাতাদের আরও একটা যুক্তি ছিল। জ়োবস চেয়েছিলেন, ফোন ডিরেক্টরিতে তাঁর টেক জায়ান্টের নাম থাকুবে সবার প্রথমে। আর তাই ‘অ্যাপ্ল’ নামটা বেছে নেন তিনি। ১৯৭৬ সালে পথচলা শুরু হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থার। ওই সময়ে এর নাম ছিল ‘অ্যাপ্ল কম্পিউটার কোম্পানি’। পরে নাম বদল করেন জোব্স ও ওজ়নিয়ক। সংস্থাটির নতুন নাম হয়, ‘অ্যাপ্ল ইনকর্পোরেটেড’। আইফোন ছাড়াও অত্যাধুনিক কম্পিউটার, ট্যাব, স্মার্ট ঘড়ি-সহ একাধিক গ্যাজেট তৈরি করে ক্যালিফোর্নিয়ার এই টেক জায়ান্ট।