বিপদের নাম স্মার্টফোনের ব্যাটারি! যখন-তখন আগুন ধরে যাচ্ছে তাতে। সেই অগ্নিকাণ্ড থেকে বিস্ফোরণ, এমনকি ঘটছে মৃত্যুও। শুধুমাত্র বাংলা বা ভারত নয়, বর্তমানে এই সমস্যায় ভুগছে গোটা বিশ্ব। বিপদ থেকে বাঁচতে ফোন ব্যবহারে ক্ষেত্রে নিতে হবে কী কী সাবধানতা? কী ভাবে নেবানো যায় ব্যাটারির আগুন? আনন্দবাজার ডট কম-এর এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
স্মার্টফোন থেকে শুরু করে পাওয়ার ব্যাঙ্ক, ল্যাপটপ বা ই-স্কুটার। বর্তমানে প্রায় প্রতিটি বৈদ্যুতিন সরঞ্জামে ব্যবহার হচ্ছে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। এর যেমন দীর্ঘ ক্ষণ শক্তি জোগানোর ক্ষমতা রয়েছে, তেমন এতে বিপদের ঝুঁকিও অনেক বেশি। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মূলত এই ব্যাটারিগুলিতেই আগুন লাগার ঘটনা ঘটছে। ফলে ব্যবহারকারীদের অবশ্যই এর থেকে সাবধান হওয়া উচিত।
লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির অগ্নিকাণ্ডের থেকে বাঁচার বেশ কয়েকটি রাস্তা রয়েছে। সেই তালিকায় প্রথমেই থাকছে ভাল ব্র্যান্ডের বৈদ্যুতিন ডিভাইস ব্যবহারের পরামর্শ। কারণ, নামি সংস্থাগুলি সাধারণত ‘আইএস ইউএল সিই’ শংসাপত্র যুক্ত ব্যাটারি ব্যবহার করে থাকে। এতে বিপদের আশঙ্কা যে অনেকটাই কম থাকে, তা বলাই বাহুল্য।
দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত চার্জ দেওয়ার কারণে কোনও ডিভাইস গরম হয়ে গেলে, তা ব্যবহার করা উচিত নয়। তৃতীয়ত, ফুলে গিয়েছে বা কিছুটা নষ্ট হয়েছে, এই ধরনের ব্যাটারির থেকে সব সময় গ্রাহকদের দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন গ্যাজেট বিশ্লেষকেরা। এ ছাড়া দূরপাল্লার যাত্রায় পাওয়ার ব্যাঙ্কের ব্যাটারি লাগেজের মধ্যে না রাখাই ভাল। এতে যখন-তখন মালপত্রে আগুন লাগার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
লিথিয়ান-আয়ন ব্যাটারিতে আগুন ধরে গেলে, কখনওই তা জল দিয়ে নেবানো উচিত নয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বালি বা ফায়ার এক্সটিংগুইশার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁদের কথায়, আগুন জ্বলা অবস্থায় লিথিয়ান-আয়ন ব্যাটারিতে জল পড়লে তাতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। সে ক্ষেত্রে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন গ্রাহক।