জীবনে প্রথম বার বিমানসফর। আনন্দ-উত্তেজনার পাশাপাশি দুশ্চিন্তাও কাজ করছে? নিয়মকানুন জানা নেই। কী ভাবে সব হয়, বুঝতে পারছেন না? বিমানযাত্রা সহজ হতে পারে জরুরি কয়েকটি বিষয় জানা থাকলে।
নথি: বিমানে চড়তে গেলে শুধু টিকিট নয়, সঙ্গে পরিচয়পত্র থাকাও জরুরি। বিদেশে সফর করতে হলে পাসপোর্ট হাতের কাছে রাখতে হবে। সফরকালে জরুরি সমস্ত নথি সঙ্গে এবং হাতের ব্যাগে রাখুন।
আরও পড়ুন:
প্যাকিং: এক বিমান সংস্থার প্যাকিং সংক্রান্ত নিয়ম এক এক রকম। যাওযার আগে সেই সংস্থার সাইটে গিয়ে দেখে নিন, কোন ধরনের জিনিস নিয়ে যাওয়া চলে, কোনটি নয়। একটি ব্যাগ স্ক্যানের পর সরাসরি চলে যায় বিমানে। এটি সংগ্রহ করতে হয় গন্তব্যে পৌঁছে। একে বলে চেক-ইন লাগেজ। যাত্রী সঙ্গে করে যেটি নিয়ে যান, তাকে বলা হয় ব্যাগেজ। দু’টির ক্ষেত্রে ওজন নির্দিষ্ট থাকে। সেই বুঝে প্যাকিং করুন। কোন জিনিসগুলি হাতের ব্যাগে রাখা যায় না, আগেই জেনে নিন।
ওয়েব চেক ইন: টিকিট কাটলেই বিমানে চ়ড়া যায় না। তার আগে ওয়েব চেক ইন জরুরি। এই পদ্ধতি বিমানবন্দরে গিয়ে নির্দিষ্ট বিমান সংস্থার লাইনে দাঁড়িয়ে করা যায়। তবে সময় বাঁচাতে চাইলে অনলাইনেও এটি করে ফেলা যায়। ‘ওয়েব চেক ইন’ লিখে সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে সার্চ করতে হয়। যে বিমান সংস্থার টিকিট রয়েছে তাদের লিঙ্কে গিয়ে ক্লিক করে সহজেই কাজটি করে ফেলা যায়। মেলে বোর্ডিং পাস।
ডিজি যাত্রা: বিমানযাত্রা সহজ হয়ে যাবে মোবাইলে এই অ্যাপটি থাকলে। লগ ইন করার পর এখানেই বোর্ডিং পাস আপলোড করে দিন। এতে বিমানবন্দরে সময় বাঁচবে। আধুনিক ‘ডিজিটাল রেকগনিশন টেকনোলজি’র সাহায্যে বিমানযাত্রীদের সরাসরি বিমানে ওঠার সুযোগ দেওয়া হয় এর মাধ্যমে।
আইএটিএ কোড: বোর্ডিং পাস, ব্যাগেজের থাকে তিন শব্দের একটি কোড। যাত্রী কোথায় যাচ্ছেন, সেটি সংক্ষিপ্ত কোডে দেওয়া থাকে। একটি বার কোড থাকে এতে। কেউ দিল্লি গেলে থাকবে ডিইএল, মুম্বই গেলে বিওএম। ব্যাগেজ এবং লাগেজে এই ট্যাগটি থাকা জরুরি।
এয়ারসাইড এবং ল্যান্ডসাইড: প্রথম বার বিমানে যাওয়ার আগে জেনে রাখা ভাল এয়ারসাইড এবং ল্যান্ডসাইড হল বিমানবন্দরের দু’টি অংশ। বিমানবন্দরের গেট দিয়ে ঢুকে যে অংশ লাগেজ স্ক্যান করানো হয়, দোকানপাট থাকে, আত্মীয়েরাও দেখা করতে পারেন সেই অংশটি হল ‘ল্যান্ডসাইড’। নিরাপত্তার ধাপ পেরিয়ে এক বার সেখান থেকে এয়ারসাইডে চলে গেলে ফেরা মুশকিল। আবার নিরাপত্তার সমস্ত ধাপ পেরিয়ে ফিরতে হবে।
লে ওভার: এই শব্দের অর্থ জেনে রাখাও দরকার। কোনও স্থানে পৌঁছনোর জন্য দু’টি বিমান ধরতে হবে। প্রথম বিমান যেখানে পৌঁছে দেবে সেই বিমানবন্দরে, যেখানে পরের বিমানের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। এই স্টপটিকেই বলা হয় লে ওভার।