দোলের ছুটিতে ঘুরতে যাবেন? ছবি: সংগৃহীত
দোলে শান্তিনিকেতন যেতে আর ইচ্ছা করছে না? কিন্তু বসন্ত উৎসব আসা মানেই যে শহুরে বাঙালির মন পালাই পালাই করে। সপ্তাহান্তে মেলা দিন তিনেকের ছুটির সদ্ব্যবহার করতে অনেকেই কলকাতার কাছে-পিঠে ঘুরতে যেতে চান। রইল এমন কিছু চেনা-অচেনা স্থানের হদিশ, যা দোলের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়ার জন্য হতে পারে আদর্শ গন্তব্য।
বড়ন্তি
‘পিণ্ডারে পলাশের বন’ দেখলেই যাঁদের মন ‘পালাব পালাব’ করে, তাঁদের জন্য পলশে ঘেরা বড়ন্তি হতে পারে আকর্ষণীয় একটি গন্তব্য। পলাশ ছাড়াও বড়ন্তিতে রয়েছে শাল-শিমুল, মহুয়া, পিয়াল, সেগুনের বন। বড়ন্তিতে প্রচুর পাখি দেখতে পাওয়া যায়, ফলে যাঁরা পাখি দেখতে ভালবাসেন, তাঁদের বেশ ভাল লাগতে পারে এই স্থান। পাশাপাশি, জলাধার থেকে মিলবে টাটকা রুই-কাতলাও। ট্রেনে করে যেতে হলে নামতে হবে আসানসোল, সেখান থেকে আদ্রা হয়ে বড়ন্তি। সরাসরি সড়কপথে যেতে চাইলে যেতে হবে রানিগঞ্জ। সেখান থেকে শালতোড়া হয়ে বড়ন্তি। জলাধার ও বনের মধ্যিখানে ছোট্ট এই জায়গা! নিরিবিলিতে নিজের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য আদর্শ বসন্তে পলাশে ভরা বড়ন্তি।
মুকুটমণিপুর
মুকুটমণিপুরে অবস্থিত কংসাবতীর বাঁধটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাটির বাঁধ। এটি প্রায় ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ। কংসাবতীর বাঁধ ছাড়াও রয়েছে মুসাফিরনা ভিউ পয়েন্ট, বনপুকুরিয়া গ্রাম, পরেশনাথের মন্দির ও নোয়াডিহির সানসেট পয়েন্টের মতো একাধিক দর্শনীয় স্থান। বিশেষত যাঁরা ছবি তুলতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য মুকুটমণিপুর হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। ট্রেনে যেতে হলে নামতে হবে বাঁকুড়ায়। সেখান থেকে বাসে বা ভাড়া গাড়িতে মুকুটমণিপুর। তবে মোটরবাইক চালাতে জানলে, দু’চাকায় চেপে মুকুটমণিপুর যাওয়ার অভিজ্ঞতা কিন্তু বেশ মনোরম।
গনগনি
ইদানীং সপ্তাহান্তে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা হিসাবে গনগনি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে শিলাবতী নদীর ধারে অবস্থিত এই জায়গাটিকে ‘বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ও বলা হয়। জঙ্গল যদি আপনার পছন্দের হয়, তা হলেও চলে যেতে পারেন গনগনিতে। এখানে পৌঁছতে ট্রেনে অথবা বাসে নামতে হবে গড়বেতা। সেখান থেকে টোটো চেপে গনগনি। তবে গনগনিতে থাকার বিশেষ কোনও জায়গা নেই। থাকতে হবে গড়বেতায়।
বাঁকিপুট
সমুদ্র ভালবাসেন। কিন্তু দিঘা মন্দরমণির ভিড় পছন্দ করেন না? চলে যেতে পারেন বাঁকিপুট। ভিড় নেই। রয়েছে অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। সমুদ্র ছাড়াও এখান থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে, দরিয়াপুরে রয়েছে প্রায় একশো ফুট উঁচু একটি সক্রিয় বাতিঘর। আছে একটি শতাব্দীপ্রাচীন মন্দিরও। যার উল্লেখ আছে ‘কপালকুণ্ডলা’-এ। ট্রেনে যেতে চাইলে উঠে পড়া যায় তাম্রলিপ্ত এক্সপ্রেসে। সড়কপথে যেতে চাইলে পৌঁছতে হবে জুনপুট। সেখান থেকে মোটরভ্যানে বাঁকিপুট।
নিমডী
নিমডী পুরুলিয়া সীমান্তে অবস্থিত একটি গ্রাম। শুধু দোলের সময়েই নয়, গোটা বসন্তকালেই এখানে বিশেষ লোক উৎসব আয়োজিত হয়। দোলের দিন হয় রং খেলার আয়োজন। রং খেলা ছাড়াও স্থানীয় গ্রামবাসীরা এই সময়ে এখানে নাচ-গানের আয়োজন করে থাকেন। হাওড়া থেকে ট্রেনে নিমডী পৌঁছে যাওয়া যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy