দু’বছর ধরে এক বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তরুণী। কয়েক বছর আগে সেই সংস্থার দরজায় তালাও লেগে যায়। তার পর থেকে সেই অফিসের বসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। হঠাৎ তরুণীকে বহু বছর পর সমাজমাধ্যমে খুঁজে পেয়ে প্রেম উথলে উঠল তাঁর মাঝবয়সি প্রাক্তন বসের। নাগাড়ে একতরফা মেসেজ পাঠিয়ে বিরক্ত করছিলেন তিনি। উপায় না দেখে প্রাক্তন বস্কে ‘ব্লক’ করতে বাধ্য হন তরুণী।
তরুণীর দাবি, সমাজমাধ্যমে প্রত্যাখ্যান পেয়ে সোজা তরুণীর ঠিকানা খুঁজে তাঁর বাড়িতে চলে যান ৪৫ বছর বয়সি সেই ব্যক্তি। সেই ঘটনার উল্লেখ করে চ্যাটের স্ক্রিনশট সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেছেন তরুণী (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘আর/ইন্ডিয়াসোশ্যাল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে দেখা যাচ্ছে একতরফা চ্যাটের স্ক্রিনশট। উত্তরের প্রত্যাশা না করে প্রেমে ভরপুর মেসেজ পাঠিয়ে গিয়েছেন এক ব্যক্তি। তরুণীর দাবি, সেই ব্যক্তি তাঁর প্রাক্তন বস্। ৪৫ বছর বয়স তাঁর বসের। কয়েক বছর আগে তাঁর সংস্থায় কাজ করতেন তরুণী। অফিসে বসের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল না তরুণীর। অন্য সহকর্মীর মতোই মেলামেশা ছিল তাঁদের।
দু’বছর আগে সেই সংস্থাটি চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। তার পর থেকে বসের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তাঁর। তরুণীর দাবি, দু’বছর পর তাঁকে ইনস্টাগ্রামে খুঁজে পেয়ে একতরফা মেসেজ পাঠিয়ে যাচ্ছেন তাঁর বস্। তরুণী কোনও উত্তর না দিয়ে, বিরক্ত হয়ে বস্কে ‘ব্লক’ করে দেন। তার পর তরুণীর জীবন আরও দুর্বিষহ করে তোলেন ওই ব্যক্তি।
আরও পড়ুন:
তরুণীর ঠিকানা জোগাড় করে সোজা তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাজির হন সেই ব্যক্তি। বাবা-মায়ের সামনে যদি অশান্তি করতে শুরু করেন, সেই ভয়ে বস্কে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলেন তরুণী। প্রথমে রাজি না হলেও তরুণী তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলার আশ্বাস দিলে সেখান থেকে চলে যান তাঁর বস্। তার পর নাকি তরুণীকে ক্রমাগত হোয়াট্সঅ্যাপে বিরক্ত করতে শুরু করেন সেই ব্যক্তি।
তাঁর প্রাক্তন বসের কথায়, ‘‘তুমি আমার। আমার হৃদয় জুড়েও শুধু তুমি। তোমার প্রতি আমার এই ভালবাসা কিছুতেই অস্বীকার করতে পারো না। আমি জানি, তুমিও আমায় ভালবাসো। কিন্তু মুখ ফুটে কিছু বলো না। সমান্তরাল বিশ্বে আমরা একে অপরের চিরসঙ্গী। কত দিন আর মনের কথা না শুনে পালাবে?’’
প্রাক্তন বসের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ তরুণী। চ্যাটের স্ক্রিনশট পোস্ট করে নেটাগরিকদের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন তিনি। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘বুড়ো বয়সে যত ভীমরতি! বাবা-মাকে জানান যে, আপনাকে কী ভাবে বিরক্ত করা হচ্ছে। লোকটিকেও সরাসরি বারণ করুন। যদি এতে কাজ না হয়, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করুন।’’