হাঁটুর বয়সি প্রেমিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল ঝাড়খণ্ডের এক গৃহবধূর। প্রেমিকের বয়স ২১ ও বিবাহিতা মহিলার বয়স ৪৫। প্রেমের সম্পর্ক জানাজানি হওয়ার পর দাঁড়িয়ে থেকে স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমিকের বিয়ে দিলেন গৃহবধূর স্বামীর। ঝাড়খণ্ডের পাকুর জেলার ঘটনা। প্রথম পক্ষের সন্তান ও স্বামীর উপস্থিতিতে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন বর্তমান প্রেমিকের সঙ্গে। হিরণপুর থানার ঘাঘরজানি গ্রামে এই ‘অস্বাভাবিক’ বিয়ে নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই হইচই পড়েছে। সমাজমাধ্যমেও বিপুল চর্চা শুরু হয়েছে বিষয়টি নিয়ে।
আরও পড়ুন:
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দুই সন্তানের মা ওই মহিলার বেশ কয়েক বছর ধরে গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক। গ্রামে তাঁদের প্রেমের কথা চাউর হতেই বিষয়টি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়ে যায়। অসম সম্পর্কের বিষয়টি পঞ্চায়েতের সামনে উত্থাপিত হয়। ভরা পঞ্চায়েতের সভায় গৃহবধূর প্রথম স্বামী সামাজিক রীতিনীতি মেনে জনসমক্ষে তাঁর কপাল থেকে সিঁদুর মুছে দেন। মহিলার হাতের চুড়ি খুলে ফেলে দেওয়া হয়। এর পর গ্রামবাসী ও পঞ্চায়েতকে সাক্ষী রেখে স্বামী ও সন্তানদের সামনে প্রেমিককে বিয়ে করেন মহিলা। এই ঘটনা সম্পর্কে প্রশাসন বা পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও পাওয়া যায়নি। গ্রামবাসীদের দাবি, পঞ্চায়েতের তত্ত্বাবধানে পারস্পরিক সম্মতিতে বিষয়টির সমাধান হয়েছে।