মালিকের থেকে টাকা চুরি করার পর পাপবোধে ভুগছিলেন গাড়িচালক। পাপস্খালন করতে চুরির টাকার কিছু অংশ মন্দিরে দান করে দিলেন ওই ব্যক্তি। কয়েক হাজার টাকা তিনি মন্দিরের দানপাত্রে দিয়ে আসেন বলে জানা গিয়েছে। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর। এই চুরিটি সংবাদমাধ্যমে মনোযোগ আকর্ষণ করেছে ‘আধ্যাত্মিক কারণে’। বিষয়টি আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে কারণ, চোর ধরা পড়লেও মন্দিরে দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়ার কোনও সম্ভাবনাও নেই টাকার মালিকের।
গত ৫ মে বেঙ্গালুরুর কোদণ্ডরামপুরার বাসিন্দা ৪৬ বছর বয়সি এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তাঁর ‘বিশ্বস্ত’ গাড়িচালকের হাতে দেড় কোটি টাকা ভর্তি একটি ব্যাগ তুলে দেন। চালকের নাম রাজেশ। তিনি ১০ বছর ধরে ওই চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের গাড়ি চালাচ্ছেন। রাজেশকে তিনি ব্যাগটি গাড়িতে রাখতে বলেছিলেন। পরে এটি তিনি একটি ব্যাঙ্কে জমা করতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন রাজেশকে। ব্যাঙ্কে যাওয়ার সময় ওই সিএ দেখেন গাড়িসমেত উধাও হয়ে গিয়েছেন রাজেশ। সংবাদমাধ্যমে রাজেশের মালিক জানান, তিনি অন্য একটি গাড়ি নিয়ে তাঁর অফিসে ছুটে যান। সেখানে নিজের গাড়িটিও দেখতে পান কিন্তু রাজেশের দেখা মেলেনি। তাঁকে ফোন করতেই জবাব আসে যে রাজেশ একটি দোকান থেকে ওষুধ কিনছেন এবং ১০ মিনিটের মধ্যে ফিরে আসবেন।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
রাজেশ ফিরে না আসায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সিএ। পুলিশ রাজেশকে খুঁজে বার করার বিজ্ঞপ্তি জারি করে। ৯ মে রাজেশ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ তদন্তে জানা গিয়েছে রাজেশ চুরির টাকা দিয়ে ১ লক্ষ টাকার কেনাকাটা করেছেন। কয়েক হাজার টাকা মন্দিরে দান করে এসেছেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন রাজেশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মন্দিরে দান করা টাকা উদ্ধার করা সম্ভব নয়। কারণ, মন্দিরে দান করা অর্থ দেবতার প্রণামী হিসাবে বিবেচিত হয়। সেই টাকা ফেরতযোগ্য নয়।