সন্তানপ্রসবের সময় মারা গিয়েছেন স্ত্রী, বাড়িতে দেখাশোনা করার কেউ নেই। বাধ্য হয়েই দু’বছরের কন্যাসন্তানকে নিয়ে খাবার সরবরাহের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তরুণ। সম্প্রতি লিঙ্কডইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থার কর্মী সেই তরুণের কাহিনি ভাগ করে নিয়েছেন গুরুগ্রামের বাসিন্দা ময়ঙ্ক আগরওয়াল। তিনি অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার দিয়েছিলেন। সেই খাবার পৌঁছে দিতে এসেছিলেন পঙ্কজ নামের তরুণ। তাঁকে ফোন করে উপরে খাবারটি দিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন ময়ঙ্ক। পঙ্কজের সঙ্গে কথা বলার সময় ময়ঙ্ক ফোনের ওপারে আরও একটি গলার স্বর শুনতে পান। কচি গলার আধো আধো বুলিতে কে যেন পাশ থেকে কথা বলে চলছিল।
পঙ্কজকে উপরে আসতে বারণ করে তিনি নিজেই নীচে নেমে এসেছিলেন বলে জানান ময়ঙ্ক। এসে তিনি দেখেন ডেলিভারি কর্মীর বাইকে বসে আছে ছোট্ট এক মেয়ে। পঙ্কজ জানান এটি তাঁর মেয়ে, নাম টুনটুন। বাধ্য হয়েই তিনি মেয়েকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে খাবার সরবরাহ করতে বেরিয়েছেন। সন্তানপ্রসবের সময় পঙ্কজ তাঁর স্ত্রীকে হারিয়েছেন। তার পর থেকে তিনি একাই দুই সন্তানকে লালনপালন করেন। পঙ্কজ জানান, তাঁর পরিবারে এমন কেউ নেই, যিনি শিশু দুটির দেখভাল করতে পারেন। তাই এই পন্থা বেছে নিতে হয়েছে তাঁকে। তাঁর ছেলে স্কুলে পড়ে। সে বাড়ি না ফেরা পর্যন্ত পঙ্কজই মেয়েকে বাইকে করে নিয়ে ঘুরে বেড়ান।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
পঙ্কজ জানিয়েছেন, অনেক গ্রাহকই তাঁকে বাড়িতে থেকে সন্তানের দেখাশোনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এই পোস্টটি বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই নজর কেড়েছে নেটাগরিকদের। তাঁরা তরুণের লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়েছেন। অনেক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা লিখেছেন পোস্টে।