মৃতদেহ শোয়ানো রয়েছে খাটে। আর ঠিক তার মাথার সামনে এসে বসে রয়েছে একটি বাঁদর। অবোলা প্রাণীটি স্নেহের টানে যোগ দিতে এসেছে এক ব্যক্তির শেষকৃত্যে। সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে ঝাড়খণ্ডের দেওঘরের বাসিন্দা ওই মৃত ব্যক্তির নাম মুন্না সিংহ। মারা যাওয়ার পর তাঁর দেহটি সৎকারের জন্য মাটিতে শোয়ানো ছিল। ঠিক সেই সময়ই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসে বাঁদরটি। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে প়ড়েছে সমাজমাধ্যমে। প্রাণীটির এমন ভালবাসার দৃষ্টান্ত দেখে চোখের কোল ভিজে উঠেছে সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদেরও। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
‘ভিজিল্যান্ট হিন্দুত্ব’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, মাটিতে শোয়ানো দেহের কাছে এসে বসে রয়েছে বাঁদরটি। মৃত মুন্না এলাকায় পশুপাখিপ্রেমী বলে পরিচিত ছিলেন। বাঁদরের প্রতি তাঁর বিশেষ ভালবাসা ছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রায়শই তিনি ফলমূল ও রুটি খাওয়াতেন তাদের। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, খাটের পাশে বসে মৃতের মুখের চাপা দেওয়া চাদর সরিয়ে পরম মমতায় চুমু খেতে শুরু করে বাঁদরটি। মৃতদেহের পাশে বসে মানুষের মতো শোকপ্রকাশ করতে দেখা যায় বাঁদরটিকে। বাঁদরের এই কাণ্ড দেখে ভিড় জমে যায় সেখানে। প্রাণীটি মুন্নার শেষকৃত্যেও যোগ দিয়েছিল। সেই দৃশ্য দেখে উপস্থিত অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।অনেক গ্রামবাসীই বাঁদরের সামনে মাথা নত করে।
ভিডিয়োটি দেখে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। বাঁদরের এই আচরণ মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের। এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘‘ভালবাসা পেলে মানুষের সঙ্গে প্রাণীর বন্ধন যে কতটা আন্তরিক হতে পারে তারই প্রমাণ হল এই ভিডিয়ো।’’