মৃত্যুর ওপারে কী রয়েছে? স্বর্গ, নরক না অন্য কিছু? দীর্ঘ দিন তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। অনেকেই দাবি করেন, বেঁচে থাকতে থাকতেই মৃত্যুর ‘অভিজ্ঞতা’ লাভ করেছেন তাঁরা। কেউ কেউ আবার আরও এক ধাপ এগিয়ে স্বর্গ বা নরক পরিদর্শনের দাবিও করেছেন। তবে আমেরিকার প্যাম রেনল্ডস নামে এক মহিলা যে দাবি করেছেন, তা এ সব দাবির ঊর্ধ্বে।
আরও পড়ুন:
আমেরিকার জর্জিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলার দাবি, অস্ত্রোপচারের সময় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। আর সে সময়ই মৃত্যু পরবর্তী অসাধারণ অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন তিনি। যদিও পরে আবার জীবন ফিরে পান। প্যামের দাবি, তাঁর সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছিল ১৯৯১ সালে। সে সময় বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করে বিষয়টি।
প্যাম দাবি করেছেন, ১৯৯১ সালে মস্তিষ্কের জটিল অস্ত্রোপচারের হয়েছিল তাঁর। ওই অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁর শরীরের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে কমাতে হয়েছিল চিকিৎসকদের। সাময়িক ভাবে তাঁর হৃৎপিণ্ডও নাকি বন্ধ করা হয়েছিল। এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছিল সেই অস্ত্রোপচার। এবং সেই সময়ই নাকি তাঁর মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
আমেরিকার মহিলার এ-ও দাবি, মৃত্যুর পর একটি উজ্জ্বল আলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। মৃত আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার ‘অভিজ্ঞতা’ও নাকি হয়েছিল। তাঁর বিশ্বাস, তিনি ‘স্বর্গ’-এ পৌঁছে গিয়েছিলেন। অস্ত্রোপচারের পর একটি রহস্যময় ছায়া নাকি তাঁকে শরীরে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ শুনে আবার বেঁচে উঠেছিলেন তিনি।
মহিলা এ-ও দাবি করেছিলেন, অস্ত্রোপচারের সময় তাঁর আত্মা শরীর থেকে বেরিয়ে উপরে ভেসে বেড়াচ্ছিল। অস্ত্রোপচারের টেবিলে তাঁর সঙ্গে কী কী ঘটেছিল তা উপর থেকে চাক্ষুষ করেছিলেন তিনি। চিকিৎসকদের কথোপকথনও শুনেছিলেন। প্যামের সেই বর্ণনা চিকিৎসকদের হতবাক করে দিয়েছিল। বিজ্ঞানী এবং জনসাধারণের মধ্যে পরকালের অস্তিত্ব নিয়ে বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছিল।
আরও পড়ুন:
প্যামের ‘মৃত্যু-অভিজ্ঞতা’ অন্যতম আলোচিত ঘটনাগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছিল সে সময়। যদিও বিজ্ঞানীদের একাংশ মহিলার ওই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের অভাব বা ওষুধের প্রভাবের কারণে ভ্রম হয়েছিল তাঁর।