প্রবাদে আছে কুপুত্র যদি বা হয় কুমাতা কখনও নয়। সেই প্রবাদকে মিথ্যা প্রমাণ করলেন এক মা। বেঙ্গালুরুতে সদ্যোজাত সন্তানকে ফুটন্ত জলে ডুবিয়ে মেরে ফেললেন এক তরুণী। একরত্তি শিশুটির অপরাধ ছিল, দুধ না খেতে না চাওয়া। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বেঙ্গালুরুর কাছে নেলামঙ্গলা এলাকায় ফুটন্ত জলের পাত্রে রেখে নবজাতককে হত্যা করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৭ বছর বয়সি তরুণীকে। সময়ের আগেই জন্ম হওয়ায় দূর্বল ছিল শিশুটি। দুধ খেতে চাইত না প্রায়ই। মাঝেমধ্যেই অস্বাভাবিক ভাবে কান্নাকাটি করত শিশুটি। এর ফলে তরুণী বিশ্বাস করতে শুরু করেন যে শিশুটি স্বাভাবিক নয়। সেই হতাশা থেকেই তিনি এই কাণ্ড ঘটান বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গত সোমবার বিশ্বেশ্বরপুরে রাধা নামের ওই তরুণী তাঁর বাপের বাড়িতে এই ভয়াবহ কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন। রাধা কিছু দিন ধরে সেখানে একাই থাকছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণী পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশন বা প্রসবোত্তর অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর সাংসারিক জীবনেও প্রচণ্ড অশান্তি ছিল। রাধার স্বামী মদ্যপ ও বেকার। সন্তান জন্মের পর স্বামী তাঁর সঙ্গে থাকতেন না বলে জানা গিয়েছে। তরুণী উনুন জ্বালিয়ে, রান্নার পাত্রে জল ফুটিয়ে, তার পর শিশুটিকে তাতে শুইয়ে দেন। পুড়ে মারা যায় হতভাগ্য নবজাতকটি।
আরও পড়ুন:
দু’বছর আগে পবন নামে এক অটোচালক তরুণের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন রাধা। মাসখানেক আগে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। সন্তান প্রসবের পর তিনি তাঁর বাবার বাড়িতেই ছিলেন। শিশুটির বয়স ছিল মাত্র এক মাস ৮ দিন, নাম হেমন্ত কুমার।