Advertisement
E-Paper

মধুচন্দ্রিমায় সঙ্গী হবেন হবু বরের বাবা-মা! আপত্তি জানানোয় চটে গেলেন তরুণ, হবু কনেকে দিলেন অদ্ভুত যুক্তিও

তরুণীর ইচ্ছা, বিয়ের অনুষ্ঠানের পর সেখানেই মধুচন্দ্রিমা কাটিয়ে আসবেন তাঁরা। অন্তত সপ্তাহখানেক সেখানে সময় কাটাতে চান তরুণী। জীবনসঙ্গিনীর ইচ্ছা শুনে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তরুণ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫১

—প্রতীকী ছবি।

হবু বরের সঙ্গে বয়সের তফাত মাত্র দু’বছরের। চলতি বছরের নভেম্বর মাসেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন ২২ বছরের তরুণী। তবে বিয়ের জন্য আলাদা ভাবে অনুষ্ঠানবাড়ি ভাড়া করছেন না তাঁরা। হবু বরই সেই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন। শহর থেকে দূরে প্রাসাদোপম বাড়ি রয়েছে তাঁর। হবু বরের পাশাপাশি সেই বাড়ির মালিকানা রয়েছে তাঁর বাবা-মা এবং বোনের কাছে। তাই অন্য কোথাও বিয়ের অনুষ্ঠান না করে সেখানেই সমস্ত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাত্রের পরিবার। তরুণীও কোনও আপত্তি জানাননি। তবে, নিজের একটি শখের কথা হবু বরকে জানিয়েছিলেন তিনি।

তরুণীর ইচ্ছা, বিয়ের অনুষ্ঠানের পর সেখানেই মধুচন্দ্রিমা কাটিয়ে আসবেন তাঁরা। অন্তত সপ্তাহখানেক সেখানে সময় কাটাতে চান তরুণী। জীবনসঙ্গিনীর ইচ্ছা শুনে সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন তরুণ। তা দেখে তরুণীও খুব খুশি হয়ে যান। কিন্তু কয়েক দিন পর আসল সত্য জানতে পেরে চটে যান তরুণী। ২৪ বছর বয়সি পাত্র দাবি করেন, তাঁদের মধুচন্দ্রিমায় সঙ্গী হবেন তাঁর বাবা-মা। তা শুনেই আপত্তি জানান তরুণী। বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার পর সকল অতিথি সেখান থেকে চলে যাবেন।

এমনকি, তরুণের বোনও চলে যাবেন অনুষ্ঠানের পর। কিন্তু সেই বাড়িতে থেকে যাবেন তরুণের বাবা-মা। তরুণের কাছে আপত্তি প্রকাশ করায় নাকি ক্ষুণ্ণ হয়ে যান তিনি। তরুণীর দাবি, তিনি তাঁর হবু স্বামীকে অনুরোধ করেছিলেন তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলার জন্য।

মধুচন্দ্রিমায় তাঁরা দু’জন একান্তে সময় কাটাতে চান, তাই অন্য অতিথিদের সঙ্গে তরুণের বাবা-মাও যেন বিদায় নেন— এমনটাই চাইছিলেন তরুণী। এমনকি, তরুণকেও সেই কথা বুঝিয়ে বলার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তরুণ তা মানতে নারাজ। তাঁর দাবি, ৪০ একর জমির উপর বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে তাঁদের।

তরুণের পাশাপাশি সেই বাড়িতে অংশীদারি রয়েছে তাঁর বাবা-মা এবং বোনেরও। তাই তাঁরা যত দিন খুশি সেই বাড়িতে থাকতে পারেন। নিজের বাড়ি থেকে তাঁদের বেরিয়ে যাওয়ার কথা বলতে পারবেন না তরুণ। দোলাচলে পড়ে গিয়ে সমাজমাধ্যমের পাতায় সাহায্য চাইছেন তরুণী। এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত সেই পরামর্শ চাইছেন তিনি। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত জীবন বলেও তো একটা জিনিস হয়। আপনার হবু শ্বশুর-শাশুড়ির সেটা বোঝা প্রয়োজন। আপনার হবু স্বামীরও উচিত ছিল আপনার পাশে দাঁড়ানো।’’ আবার এক জন লিখেছেন, ‘‘বিয়ের পর অনেক কিছুই মানিয়ে-গুছিয়ে নিতে হয়। নতুন সংসার শুরু করতে চলেছেন। ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলাতে শিখুন। বরকে নিয়ে অন্য কোথাও ঘুরে আসুন।’’

Bizarre Wedding Ceremony Honeymoon
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy