কর্মীদের উপর কড়া নজর রাখছেন সংস্থার অধিকর্তা। কাজের ফাঁকে কে, কত ক্ষণ বিরতি নিচ্ছেন তা জানা চাই তাঁর। কোনও কর্মীকে নির্ধারিত সময়ের বেশি বিরতি নিতে দেখলেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হবে তাঁকে। সংস্থার সমস্ত কর্মীকে মেল করে তা-ই জানিয়ে দিলেন অধিকর্তা। সেই সংস্থার এক কর্মী পরিস্থিতি উল্লেখ করে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছেন (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে এক তরুণ তাঁর কর্মজীবনের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন। দেড় বছর ধরে অন্য এক সংস্থায় চাকরি করতেন তরুণ। সেই সংস্থার অধিকর্তারা শুধু কাজ দেখতেন। তরুণ লেখেন, ‘‘আগে যেখানে চাকরি করতাম সেখানে দিনের শেষে কাজটা শেষ করে দিলেই হত। কে, কত ক্ষণ বিরতি নিতাম তা নিয়ে কেউ নাক গলাতেন না।’’ এক মাস আগে তিনি চাকরি বদল করেছেন।
Posts from the indianworkplace
community on Reddit
তবে এই সংস্থার নিয়মকানুন দেখে চক্ষু চড়কগাছ তরুণের। তরুণ জানান, ১৫ মিনিটের বেশি বিরতি নেওয়ার নিয়ম নেই সেখানে। সংস্থার অধিকর্তা সমস্ত কর্মীকে সতর্কীকরণ মেলও পাঠিয়েছেন। অধিকর্তার দাবি, ১৫ মিনিটের বেশি বিরতি নেওয়া মানা যাবে না। কোনও কর্মীকে যদি দ্বিতীয় বার এই নিয়ম ভাঙতে দেখা যায় তবে তাঁকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হবে। মানবসম্পদ বিভাগের কাছে নিয়মিত রিপোর্ট চান অধিকর্তা। ঘড়ি ধরে কর্মীদের নেওয়া বিরতির সময় মিলিয়ে দেখেন তিনি। তরুণের অভিযোগ, কর্মীদের চা-কফিও পরিবেশন করা হয় না তাঁর অফিসে। ১৫ মিনিটে বিরতির সময় বেঁধে নেওয়ার নিয়মও খুব অবাস্তব বলে মনে করেন তরুণ কর্মী।