Advertisement
E-Paper

স্বামীর ‘টাকার গাছ’ নেই! বরের টাকায় বিলাসবহুল জীবন কাটাতে না পারায় দ্বিতীয় বিয়ে করেও বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত তরুণীর

দ্বিতীয় স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। দৈনন্দিন জীবনের ক্ষেত্রে কৃপণতা করতেন না তরুণ। কিন্তু বিলাসিতার জন্য অর্থ ব্যয় করার সামর্থ্য ছিল না তাঁর।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৫ ১২:০৮

ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।

বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়া, রেস্তরাঁয় গিয়ে ভালমন্দ খাওয়ার শখ তরুণীর। কিন্তু স্বামী সেই খরচটুকু করতে সমর্থ নন। প্রথম বিয়ে টেকেনি তাঁর। তার পর আবার সংসার পেতেছিলেন। কিন্তু স্বামীর খরচ করার সামর্থ্য নেই দেখে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে চান তরুণী। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় নিজের তুতো বোনের বিবাহিত জীবনের কথা উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন এক ব্যক্তি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

‘আর/ইন্ডিয়াসোশ্যাল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে এক ব্যক্তি তাঁর তুতো বোনের কথা উল্লেখ করেছেন। ২০১৮ সালে সম্ভ্রান্ত পরিবারে বিয়ে হয়েছিল তরুণীর। কিন্তু ছ’মাসও বিয়ে টেকেনি তাঁর। তরুণীর দাবি, তাঁর স্বামী নাকি সময় দিতেন না তরুণীকে। তাই বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। বিবাহবিচ্ছেদের চার বছর পর আবার বিয়ে করেন তরুণী। কিন্তু তিনি যে তরুণকে বিয়ে করেছিলেন, তিনি সচ্ছল ছিল না। মধ্যবিত্ত পরিবারে বিয়ে করেছিলেন তরুণী। বিয়ের আগে তরুণীকে বার বার সতর্ক করেছিলেন তাঁর মা।

তরুণীর মায়ের দাবি, মধ্যবিত্ত পরিবারে বিয়ে হলে মানিয়ে নিতে পারবেন না তরুণী। তবুও মায়ের কথা শোনেননি তিনি। ২০২২ সালে আবার বিয়ে করেন তিনি। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। দৈনন্দিন জীবনের ক্ষেত্রে কৃপণতা করতেন না তরুণ। কিন্তু বিলাসিতার জন্য অর্থ ব্যয় করার সামর্থ্য ছিল না তাঁর। অন্য দিকে, তরুণী বিলাসবহুল জীবন কাটাতে চাইতেন। বিয়ের পরেও নাকি তরুণী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে নালিশ করেছিলেন। বিয়ের পর বাড়ির সমস্ত কাজ করতে হয় বলে আপত্তি জানিয়েছিলেন তরুণী।

স্ত্রীকে যেন বাড়ির কুটোটি নাড়তে না হয়, সে জন্য পরিচারিকা রেখেছিলেন তরুণ। তাতেও খুশি হননি তরুণী। ২০২৪ সালে সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তরুণী। সেই কারণে বাপের বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। দু’-তিন মাস বাপের বাড়িতে থাকার পর আর নাকি বরের কাছে ফিরতে চাননি তরুণী। পিতৃহারা তরুণীর মা এবং ভাইয়েরাও তাঁকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। স্বামীর রোজগার মনঃপূত না হওয়ার কারণে বিবাহবিচ্ছেদ দিতে চান তরুণী। তাঁর এই সিদ্ধান্ত শুনেই তরুণীর বাপের বাড়ির লোকেরা দুশ্চিন্তায় ডুবে গিয়েছেন।

এই প্রসঙ্গ টেনে পোস্টদাতা আরও দু’টি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। তাঁর এক আত্মীয়া ২০০৫ সালে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু আত্মীয়ার স্বামী তেমন রোজগার করতেন না। ২০ বছর ধরে এক কামরার ফ্ল্যাটে থাকতেন তাঁরা। ২০ বছর পর টাকা জমিয়ে দু’কামরার ফ্ল্যাট কেনেন। দাম্পত্যজীবন সুখেই কাটাচ্ছিলেন। আট থেকে দশ মাস আগে পোস্টদাতার এক পরিচিতা বিয়ে করেছেন। সেই তরুণীও নাকি তাঁর মায়ের কাছে গিয়ে নানা রকম অভিযোগ করেন।

স্বামী বাইরে ঘুরতে নিয়ে যান না, স্বামী বিলাসিতার জন্য খরচ করেন না বলে দুঃখ পান সেই তরুণী। অবশ্য তরুণীর মা স্পষ্ট করে মেয়েকে বলেছেন, ‘‘তোমার স্বামী ভাল মনের মানুষ। কোনও রকম নেশা করে না। তোমার গায়ে হাত তোলে না। তোমায় ছাড়া অন্য কোনও নারীর প্রতিও আকৃষ্ট নয়। তা হলে তোমার সমস্যা কোথায়?’’

কন্যাকে ভাল ভাবে বুঝিয়ে সংসার নিয়ে চিন্তাধারা বদলে দিয়েছিলেন তাঁর মা। বর্তমানে সেই তরুণীও সুখে সংসার করছেন। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করার জন্য বিলাসবহুল জীবন যাপন করার ইচ্ছা বর্তমানে দাম্পত্যজীবনে প্রভাব ফেলছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে পোস্টদাতার। নেটাগরিকদের কাছে তা নিয়ে পরামর্শও চেয়েছেন তিনি।

Bizarre Married life
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy