অফিসে বড়দিন উদ্যাপন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের উচ্চপদস্থ এক কর্তা। সহকর্মীরা পরস্পরকে বড়দিনের উপহারও দেবেন, তবে কে কাকে উপহার দিচ্ছেন তা জানানো যাবে না। অর্থাৎ, অফিসের মধ্যেই ‘সিক্রেট স্যান্টা’ খেলা হবে। তা জেনে বেশ মজা পেয়েছিলেন অফিসের কর্মীরা। কিন্তু আসল দিনে সকল আনন্দ মাটি করে দিলেন এক তরুণী সহকর্মী। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্ট করেছেন এক তরুণ (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘আর/ইন্ডিয়ানওয়ার্কপ্লেস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে এক তরুণ তাঁর অফিসের ‘সিক্রেট স্যান্টা’ সংক্রান্ত একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। তরুণ জানান, সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন অফিসার বড়দিন উপলক্ষে ‘সিক্রেট স্যান্টা’র আয়োজন করেন।
তবে, সহকর্মীদের জন্য নিয়ম বেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। নিয়ম হল, প্রত্যেক সহকর্মীকে অন্তত ১ হাজার টাকা মূল্যের উপহার দিতে হবে। সেই নিয়ম মেনেই ১,০০০ টাকা মূল্যের একটি দামি চকোলেটের বাক্স কিনেছিলেন তরুণ। তাঁর যে তরুণী সহকর্মীকে উপহার দেওয়ার কথা ছিল, তাঁকে তিনি ভাল ভাবে চিনতেনও না। অথচ, সেই তরুণী নাকি উপহারের চকোলেট পেয়ে সকলের সামনে তরুণকে অপমান করতে শুরু করেন।
আরও পড়ুন:
তরুণী উপহার পেয়ে হঠাৎ বলে ওঠেন, ‘‘ছিঃ! বড়দিনের উপহারে কে চকোলেট দেয়! চকোলেট দেওয়ার তো নিয়ম নেই।’’ অন্য দিকে মানবসম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন অফিসারও তরুণীর সঙ্গে যোগ দেন। কে কাকে উপহার দিয়েছেন, তা তিনি নিজেই দায়িত্ব নিয়ে সকলকে জানিয়ে দিলেন। ‘সিক্রেট স্যান্টা’ খেলার আসল মজাই মাটি করে দিলেন তিনি। অথচ তরুণের দাবি, যে তরুণী সহকর্মী চকোলেট উপহার পাওয়া নিয়ে ঝামেলা বাধিয়েছিলেন, তিনি নিজেই নাকি খেলার নিয়ম মানেননি।
আরও পড়ুন:
১ হাজার টাকার উপহার দেওয়ার নিয়ম ছিল, কিন্তু সেই তরুণী ৫০০ টাকার সুগন্ধি উপহার দিয়েছেন। তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্যও করেননি তিনি। সকলের সামনে এমন ভাবে তরুণী সহকর্মী অপমান করবেন, তা কল্পনাও করতে পারেননি তরুণ। নেটপাড়ায় এই প্রসঙ্গে এক নেটাগরিক লেখেন, ‘‘জনসমক্ষে অপমান করা এবং অফিসের কোনও অনুষ্ঠানের নিয়ম ভঙ্গ করা একেবারেই উচিত নয়। এতে নিচু মানসিকতার পরিচয় মেলে।’’