ভিন্ন ভিন্ন অফিসে নিয়ম, নীতিমালাও ভিন্ন ভিন্ন। চাকরি করতে গেলে সেই সব নিয়ম মেনে চলতে হয় কর্মীদের। সেই সব নিয়ম না মেনে অনেক কর্মীকে কর্তৃপক্ষের রোষের মুখেও পড়তে হয়। তবে এ বার ঊর্ধ্বতনের চাপানো নিয়ম না মানার জন্য এক কর্মী এমনই ফন্দি আঁটলেন যে কর্তৃপক্ষকে সেই নিয়মই তুলে নিতে হল! সেই ঘটনার কথা সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে ইতিমধ্যেই। হইচইও ফেলেছে।
আরও পড়ুন:
-
বৃষ্টি থেকে বাঁচতে লটারির দোকানে ঢুকে ভাগ্যপরীক্ষা, টিকিট কেটেই ‘হাত-পা ঠান্ডা’ হয়ে গেল তরুণীর! কেন?
-
প্রেমিকাকে জড়িয়ে বাইক ছোটাচ্ছেন চালক, আদরের চোটে নজর নেই রাস্তার দিকে! ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিপাকে তরুণ
-
‘বাঁচাতেই হবে’, দু’মাসের শিশুকে ইঞ্জেকশন দিতে বিপজ্জনক ভাবে দুর্গম নদী পেরোলেন নার্স! ভাইরাল ভিডিয়ো
কিন্তু কী সেই সংস্থার নিয়ম? কী ভাবেই বা সেই নিয়ম বাতিল করলেন এক কর্মী? প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যম রেডিটে। এক রেডিট ব্যবহারকারী পোস্ট করে ঘটনাটি জানিয়েছেন। ভাইরাল সেই পোস্টে রেডিট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন যে, তাঁর ম্যানেজার কাজের সময় ফোন ব্যবহার না করার নিয়ম চালু করেছিলেন অফিসে। ওই নিয়ম অনুসারে, সমস্ত কর্মচারীকে তাঁদের মোবাইল ফোন গাড়িতে বা লকারে রেখে আসতে বলা হয়েছিল। এমনকি কর্মীদের ব্যক্তিগত কোনও ফোন ধরতে বারণ করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে ইমেলও পাঠানো হয় সংস্থার তরফে।
আরও পড়ুন:
ওই রেডিট ব্যবহারকারী আরও লিখেছেন, ‘‘নতুন ম্যানেজারের ফোন ব্যবহার না করার নীতি সব কিছু বদলে দিয়েছিল। এক দিন সংস্থার প্রধান সার্ভারে ত্রুটি দেখা যায়। ম্যানেজার যখন আমাকে ফোন করেন, তখন ফোন ধরিনি। এমন ভাব করেছিলাম যে আমার কাছে কোনও তথ্য পৌঁছোয়নি। ১৭ বার আমাকে ফোন করেছিলেন ম্যানেজার। মেসেজও পাঠিয়েছিলেন। আমি উত্তর দিইনি।’’ রেডিট ব্যবহারকারীর দাবি, সংস্থার সার্ভার প্রায় ৩০ মিনিটের জন্য ‘ডাউন’ ছিল। ফলে সংস্থার অনেক কাজ থমকে যায়।
রেডিট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তিনি যখন অফিস পৌঁছোন ম্যানেজার খুব রেগে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন যে কেন তিনি ফোন ধরেননি। উত্তরে ওই কর্মী ম্যানেজারকে জানান যে, তিনি ফোন ব্যবহারের যে নিয়ম চালু করেছেন সেটা মনে করেই তিনি ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন:
রেডিট ব্যবহারকারীর দাবি, পরের দিন সকালে সংস্থার তরফে কর্মীদের কাছে আবার নতুন একটি ইমেল পাঠানো হয়। সেখানে জানানো হয় অফিসে ফোন না নিয়ে আসার নীতি প্রত্যাহার করা হচ্ছে। জরুরি অবস্থার জন্য ফোন নিজেদের কাছে রাখতে পারবেন কর্মীরা।
রেডিটের সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। বহু মানুষ দেখেছেন সেই পোস্ট। পোস্টটি দেখে নেটাগরিকদের অনেকে মজার মজার মন্তব্য করেছেন। আবার অদ্ভুত নিয়ম চালুর জন্য সংস্থার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।