বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষে এতই খরচ হয়ে গিয়েছে যে, মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার মতো টাকাপয়সা নেই। কিন্তু বিয়ের পর ঘুরতে না গেলেই নয়। তাই টাকা জোগাড় করার অভিনব উপায় বার করলেন নবদম্পতি। অতিথিদের উপহার আনতে বারণ করে দিয়েছিলেন তাঁরা। উপহারের পরিবর্তে তাঁদের কাছে চেয়েছিলেন টাকা। তা-ও আবার নগদে নয়, অনলাইন মাধ্যমে। বৌভাতের অনুষ্ঠানে কিউআর কোড লাগিয়ে দিয়েছিলেন নবদম্পতি। সেই কোড স্ক্যান করে টাকা দিলেই সোজা তা গিয়ে ঢুকবে দম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। অতিথিদের কাছ থেকে এ ভাবে টাকা চাওয়ার কারণও জানিয়েছিলেন তাঁরা।
আরও পড়ুন:
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ক্রিস মার্টিন এবং টাশা হোয়াইট দু’জনেই দক্ষিণ-পূর্ব ইংল্যান্ডের বাকিংহামশ্যায়ারের বাসিন্দা। ৩৫ বছরের ক্রিসের চেয়ে টাশা মাত্র দু’বছরের ছোট। দীর্ঘ দিন ধরে সম্পর্কে রয়েছেন তাঁরা। অবশেষে চারহাত এক করার সিদ্ধান্ত নেন দু’জনে। বাকিংহামশ্যায়ারেই বিয়ে করেন ক্রিস এবং টাশা। বিয়ের পর মেক্সিকোয় মধুচন্দ্রিমা পালন করার চিন্তাভাবনা করেছেন নবদম্পতি। কিন্তু বিয়ের খরচ দেওয়ার পর আর মেক্সিকোয় ঘুরতে যাওয়ার পয়সা নেই তাঁদের। অগত্যা, অতিথিদের কাছেই সাহায্য প্রার্থনা করতে হল ক্রিস এবং টাশাকে।
আরও পড়ুন:
বৌভাতের অনুষ্ঠানে ১৪০ জন অতিথিকে নিমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন নবদম্পতি। সকলকেই উপহার দিতে বারণ করে দিয়েছিলেন তাঁরা। তবে টাকাপয়সা নিতে কোনও রকম আপত্তি ছিল না দু’জনের। বিশেষ শর্তও রেখেছিলেন নবদম্পতি। নগদ টাকা নিতে রাজি নন তাঁরা। অনলাইন মাধ্যমে টাকা নিতে চান তাঁরা। অনুষ্ঠানগৃহের ভিতর একটি কিউআর কোড লাগিয়ে দেন ক্রিস এবং টাশা।
আরও পড়ুন:
সেই কোড স্ক্যান করে টাকা দিলে তা সরাসরি নবদম্পতির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। কোডের পাশে একটি বোর্ডে লেখা ছিল, ‘‘এই কোডটি স্ক্যান করে আমাদের টাকা দিন। কিপটেমি করবেন না। মন খুলে দান করুন। মধুচন্দ্রিমায় যাওয়ার জন্য আমাদের বিমানের খরচ অন্তত উঠিয়ে দিন।’’ বৌভাতের অনুষ্ঠানে তিনি কত টাকা পেয়েছেন তা জানাতে রাজি না হলেও ক্রিস জানান, অতিথিরা মন ভরে তাঁদের আশীর্বাদ করেছেন। কেউ কেউ আবার এক বারের বদলে দু’বার টাকা দিয়েছিলেন।