পড়শি দেশ ছাত্র-যুব বিক্ষোভে অশান্ত। সমাজমাধ্যমের উপর নেপাল সরকারের নিষেধাজ্ঞার পরই অশান্তির আগুন ছড়াতে শুরু করে চারিদিকে। এই পরিস্থিতিতে নেপালের এক স্কুলপড়ুয়ার বক্তৃতার পুরনো ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ছ’মাস আগে স্কুলের এক অনুষ্ঠানে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভপ্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল কিশোর স্কুলপড়ুয়াকে। এমনকি, তরুণ প্রজন্ম যে বিক্ষোভে সামিল হতে পারে, সেই ইঙ্গিতও পাওয়া গিয়েছিল তার বক্তৃতা থেকে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ইনকগনিটো’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, চলতি বছরের মার্চ মাসে স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানে সেই স্কুলেরই এক ছাত্র বক্তৃতা করছে। নেপাল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে সে। অনুষ্ঠানে দর্শকাসনে বসেছিলেন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। অন্য ছাত্রছাত্রীরাও দর্শকের আসনে বসে কিশোরকে সমর্থন করে চিৎকার করতে শুরু করে।
বেকারত্ব থেকে শুরু করে সরকারের দুর্নীতি দেখে ছাত্র-যুব সমাজের হাত গুটিয়ে বসে থাকা উচিত নয় বলে দাবি করে সেই কিশোর। বক্তৃতা করে স্কুলের অন্য পড়ুয়াদের উদ্দেশে সে বলে, ‘‘আমরাই এই দেশের ভবিষ্যৎ। নেপাল আমাদের। আমাদের উচিত সরকারের এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানানো। বেকারত্বের হার দিন দিন বাড়ছে। ভবিষ্যতে আমরাই ভুক্তভোগী হব। যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই দুর্নীতির অংশ, আমাদের উচিত তাঁদের সকলকে জ্বালিয়ে দেওয়া। যুব সমাজ ওঠো, জাগো।’’
ছাত্রের বক্তৃতা শুনে দর্শকের আসন থেকে বহু ছাত্রছাত্রী চিৎকার করে তাকে সমর্থন জানায়। অনুষ্ঠানের ছ’মাস পর নেপালের অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে পুরনো ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমের উপর নেপাল সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর বিক্ষোভ শুরু হয় নেপালে। মঙ্গলবার সেই বিক্ষোভ অন্য চেহারা নেয়। সমাজমাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেও কোনও লাভ হয়নি। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নেপাল। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, আর্থিক বৈষম্যের মতো বিষয়গুলি সামনে চলে আসে। আন্দোলনকারীদের রোষের মুখে পড়ে নেপাল সরকার। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির ইস্তফার পর বর্তমানে নেপালের দায়িত্বে রয়েছে সেনা।