Advertisement
E-Paper

এটা হতে পারে! অফিসে ফাইফরমাশ খাটা কর্মীর বেতন শুনে হতবাক সিইও, পাল্টা প্রশ্ন করে ‘পথ দেখাল’ নেটমাধ্যম

একটি সংস্থার সিইও বলে দাবি করা রেডিট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর অফিসের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর সঙ্গে সম্প্রতি কথা বলেন। বেতন সম্পর্কে জানতে চান। আর তা জানার পরেই হতবাক হয়ে যান তিনি।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৪৭
Reddit uses claims to be a CEO of a company became surprised after knowing salary of an office boy

—প্রতীকী ছবি।

একই অফিসে ভিন্ন ভিন্ন মানুষ আলাদা আলাদা কাজ করেন। তাঁদের বেতনও ভিন্ন। স্বাভাবিক ভাবেই সংস্থার সিইও এবং ওই সংস্থায় কর্মরত সাধারণ কর্মীর মধ্যে বেতনের পার্থক্য থাকবে। কিন্তু সেই অফিসে যাঁরা ফাইফরমাশ খাটেন, চা-জল এনে দেন, তাঁদের বেতন কত? অনেক কর্মীই তা জানেন না। অনেকে জানার চেষ্টাও করেন না। সম্প্রতি সে রকমই এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর বেতন জানতে পেরে হতবাক হয়ে গিয়েছেন একটি সংস্থার সিইও। বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়াও জানিয়েছেন সমাজমাধ্যম রেডিটে।

একটি সংস্থার সিইও বলে দাবি করা ওই রেডিট ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, তিনি তাঁর অফিসের এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মীর সঙ্গে সম্প্রতি কথা বলেন। তাঁর বেতন সম্পর্কে জানতে চান। আর তা জানার পর নাকি হতবাক হয়ে যান। ওই রেডিট ব্যবহারকারীর দাবি, ওই কর্মীর থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে, তাঁর মাসিক বেতন মাত্র ১২ হাজার টাকা। সেই নামমাত্র বেতনের চাকরি করার জন্য রোজ সকাল ৭টায় বাড়ি থেকে বেরিয়ে অফিস আসেন মহারাষ্ট্রের নালাসোপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক। বাড়ি ফেরেন রাত ৮টায়। ছুটি কেবল রবিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। বাড়িতে স্ত্রী এবং দুই সন্তানও রয়েছে তাঁর। সে সব কথা শুনেই নাকি হতবাক হয়ে গিয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই রেডিট ব্যবহারকারী সিইও।

রেডিট ব্যবহারকারী আরও জানিয়েছেন যে, ওই একই সংস্থার সফ্‌টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের বার্ষিক বেতন ২০ লক্ষ টাকা। বেতনের ক্ষেত্রে এত বিশাল বৈষম্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

ওই রেডিট ব্যবহারকারী পুরো বিষয়টি পোস্ট করেছেন ‘দ্যাট রিপ্লেসমেন্ট-২৩২’ নামে রেডিট অ্যাকাউন্ট থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই পোস্ট। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। এক নেটাগরিক পোস্ট দেখে লিখেছেন, ‘‘খুবই দুঃখজনক। ভারতে বহু মানুষকেই ১২ হাজার বা তার থেকেও কম বেতনে সংসার চালাতে হয় হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পরও।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘আপনি তো নিজেকে সিইও বলছেন। যদি এতই খারাপ লাগে তো সমাজমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ না করে ওই কর্মীর বেতন বাড়িয়ে দিলেই হয়।’’

Salary Bizarre CEO
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy