আদিম মানুষের বিষয়ে নতুন কোনও তথ্য আবিষ্কারের উদ্দেশ্যে গুহার চারপাশে খননকার্য শুরু করেছিলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কর্মীরা। মাটি খোঁড়ার সময় এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখতে পান ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিজ্ঞানীরা। মাটির তলায় চাপা রয়েছে মানব কঙ্কাল। কিন্তু সেই কঙ্কাল টুকরো টুকরো করে ভাঙা।
নরকঙ্কালের অংশগুলি উদ্ধার করে গবেষণা শুরু করেন বিশেষজ্ঞেরা। কঙ্কালের বয়স এবং বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করার পর চমকে যান তাঁরা। প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দাবি, ওই কঙ্কাল সাড়ে আট লক্ষ বছরের পুরনো। এমনকি, এগুলি শিশুদের কঙ্কাল। তাঁদের অনুমান, এই শিশুরা নরখাদকের শিকারে পরিণত হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, স্পেনের উত্তরাংশের আতাপুয়েরকার গ্রান ডোলিনা গুহাস্থলে খনন করার সময় গবেষকেরা মানুষের ঘাড়ের হাড় আবিষ্কার করেন। সেই কঙ্কাল দেখে বোঝা যায় যে, ইচ্ছাকৃত ভাবে শিরশ্ছেদ করা হয়েছিল। তার পাশাপাশি একটি কাটা চিহ্নও স্পষ্ট ভাবে দেখা গিয়েছে। আইপিএইচইএস-সিইআরসিএ মানব জীবাশ্মবিদ্যা সংস্থার সহ-অধিকর্তা এবং গবেষক পালমিরা সালাদি এবং অ্যান্ড্রু অলের নেতৃত্বে গ্রান ডোলিনা গুহাস্থলে খননকার্য চালানো হয়।
পালমিরার দাবি, এই কঙ্কাল শিশুদেহের। শিশুর কঙ্কাল দেখে তার প্রজাতিও আন্দাজ করা গিয়েছে। এটা হোমো সেপিয়েন্স এবং নিয়ান্ডারথালদের মধ্যে শেষ যোগসূত্র ছিল বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। কঙ্কালটি পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে যে, তার বহু জায়গায় কাটা দাগ। ঘাড় থেকে সেই শিশুর মাথা কেটে আলাদা করা হয়েছিল। পালমিরা এবং অ্যান্ড্রুর মতে, সেই শিশু নরখাদকের শিকারে পরিণত হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
কাটা দাগগুলি দেখে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে। কঙ্কালটির বয়স আনুমানিক ৮ লক্ষ ৫০ হাজার বছর। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেই সময় আদিম মানুষেরা তাদের সমগোত্রীয়দের খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করত। নির্দিষ্ট এলাকায় তাদের আধিপত্য বিস্তার করতেই হয়তো নরমাংস ভোগ করত তারা। এমনটাই অনুমান বিশেষজ্ঞদের।