খ্যাতনামী হাসপাতালের নামী চিকিৎসক। সেই হাসপাতালেরই একাধিক জুনিয়র চিকিৎসক এবং নার্সের সঙ্গে পরকীয়া ও শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। সেই কীর্তি তাঁর স্ত্রী জানতে পারার পর চাকরি খোয়ালেন চিকিৎসক। তাঁর স্ত্রীও চিকিৎসক। চিনের বাসিন্দা ৩৯ বছর বয়সি শিয়াও ফেই নামে ওই চিকিৎসক চিনের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় হাসপাতালে অস্ত্রোপচার বিভাগে উচ্চপদে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুসারে, তাঁর স্ত্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে স্বামীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ তোলেন। সেই অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে হাসপাতাল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে অভিযুক্ত চিকিৎসককে।
বরখাস্ত হওয়া চিকিৎসকের স্ত্রী সেই চিঠিতে জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে হাসপাতালে তাঁর বিভাগে কর্মরত নার্সের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অভিযুক্ত তাঁর স্বামী। বিবাহিত ওই নার্সকে নিয়ে তাঁর বাবা-মার সঙ্গে দেখা করাতে বাড়িও নিয়ে যান শিয়াও। সম্পর্কে থাকাকালীন নার্স দু’বার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। দু’বারই শিয়াও প্রেমিকার গর্ভপাত করান বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তাঁর স্ত্রী।
আরও পড়ুন:
এখানেই শেষ নয়, শিয়াও গত বছর জুন মাসে তাঁর বিভাগে কর্মরত ডং নামে এক জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে নতুন করে প্রেমের সম্পর্ক শুরু করেন। জুলাই মাসে ডংকে অন্য বিভাগে বদলি করার কথা ছিল। কিন্তু শিয়াও প্রভাব খাটিয়ে সেই বদলি আটকে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। জিয়াওয়ের স্ত্রী আরও জানান, একটি অস্ত্রোপচারের সময় ডংকে সাহায্য করার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন শিয়াও। সেই সময় এক জন নার্স তাঁর কাজের সমালোচনা করেন। এতে শিয়াও রেগে যান। এর পর শিয়াও ও ডং দু’জনেই রোগীকে ৪০ মিনিটের জন্য অচেতন করে রেখে চলে যান। এর জবাবে অভিযুক্ত চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, তর্কাতর্কির পর তাঁর মাথা ঘুরছিল। অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনি।
শিয়াওয়ের স্ত্রীর আরও দাবি করেছেন যে, শিয়াওয়ের কমপক্ষে আরও দু’জন মহিলার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তাঁরা দু’জনেই একই হাসপাতালে কাজ করতেন। চিকিৎসকের স্ত্রীর সমস্ত অভিযোগ খতিয়ে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, তাঁরা শিয়াওকে বরখাস্ত করেছেন। তাঁকে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে খবর।