খাবার সরবরাহকারী অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার দিয়ে টাকা না দেওয়ার অভিযোগ উঠল সরকারি স্কুলের এক মদ্যপ শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দিল্লির নারেলা এলাকায় সরবরাহ কর্মী খাবার পৌঁছে দেওয়ার পর তাঁকে টাকা না দিয়ে উল্টে মারধর করেন ওই শিক্ষক, এমনটাই অভিযোগ। উপায়াম্তর না দেখে পুলিশে খবর দেন কর্মী। পুলিশ আসার পর তাদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন শিক্ষক। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক খাবার সরবরাহ কর্মী এবং মদ্যপ গ্রাহকের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পর দিল্লি পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। অ্যাপের মাধ্যমে খাবার অর্ডার করার পর মাতাল শিক্ষক টাকা দিতে অস্বীকার করেন বলে অভিযোগ। কর্মীটি বাধ্য হয়ে পুলিশকে ফোন করলে ঘটনাটি আরও নাটকীয় হয়ে ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁদের কাছে একটি ফোন আসে। অভিযোগ আসে খাবার অর্ডার করা গ্রাহক খাবার নিয়ে টাকা দিতে ঝামেলা করছেন। দেরি হওয়ার জন্য কর্মীকে শারীরিক ও মৌখিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগও ওঠে।
খবর পাওয়ামাত্রই পুলিশের পিসিআর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। পুলিশ দেখে ফ্ল্যাটে দু’জন ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় হইহল্লা জুড়েছেন। পুলিশ দেখে শান্ত হননি তাঁরা, উল্টে পুলিশকর্মীদের উপর চোটপাট করতে শুরু করেন। এক্স হ্যান্ডলের ‘দ্যস্কুইন্ড’ নামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়েছে ভিডিয়োটি। ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে মদ্যপ ব্যক্তিকে জোর করে সিঁড়ি দিয়ে টেনে বার করে আনছেন পুলিশকর্মীরা। স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষককে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাজকুমার ওরফে রুশি কুমার। পেশায় এক জন সরকারি শিক্ষক। তাঁকে ও তাঁর সঙ্গীকে আটক করা হয়েছে। সময়াভাবের কারণে ডেলিভারি কর্মী অভিযোগ দায়ের করেননি। কাউন্সেলিংয়ের পর অভিযুক্তদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, অভিযোগকারী যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তবে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।