Advertisement
E-Paper

নদীর জলের তোড়ে তলিয়ে যাচ্ছিল দুই সন্তান, ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচাতে স্রোতে ঝাঁপ দিলেন বাবা! কী ঘটল তার পর?

নদীর উত্তাল স্রোতে ভেসে যাচ্ছিল দুই নাবালক। নিজের প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে সন্তানদের বাঁচাতে নদীতে লাফিয়ে পড়লেন এক তরুণ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫ ১১:২০
father jumped into a river

ছবি: সংগৃহীত।

সন্তানের জন্য একমাত্র নিঃস্বার্থ ভালবাসতে পারেন বোধ হয় বাবা-মাই। সন্তানের গায়ে বিপদের আঁচ যেমন মা আসতে দেন না তেমন সন্তান কোনও বিপদে পড়লে ঝাঁপিয়ে পড়ে তা থেকে উদ্ধার করে আনেন বাবা। তেমনই একটি ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে সম্প্রতি। সেখানে দেখা গিয়েছে নিজের প্রাণের মায়া তুচ্ছ করে সন্তানদের মৃত্যুমুখ থেকে উদ্ধার করেছেন এক তরুণ। নদীর উত্তাল স্রোতে ঝাঁপিয়ে পড়ে তাদের প্রাণ বাঁচিয়েছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভাইরাল ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট হওয়া ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সাপের মতো ফুঁসছে নদীর জল। জলের তোড় প্রবল। সেই জলস্রোত দেখলে মনে হতে পারে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ভিডিয়োটি কবে বা কোথায় তোলা হয়েছে সে সম্পর্কে অবশ্য কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে নদীর পারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কয়েক জন। নদী পেরোতে গিয়ে জলে পড়ে ভেসে যাওয়ার জোগাড় হয় দুই নাবালকের। স্রোতের তোয়াক্কা না করেই ঝাঁপিয়ে পড়েন তরুণ। সন্তানদের বুকে আঁকড়ে জল থেকে টেনে তুলে আনেন বাবা। ভিডিয়োটি প্রথমে দেখলে মনে হতে পারে তিন জনই নদীর স্রোতের টানে তলিয়ে যাবেন। শেষমেশ সন্তানদের নিরাপদ জায়গায় তুলে আনতে সমর্থ হন বাবা। নদীর পারে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ সেই দৃশ্য দেখলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেননি কেউই।

‘সন্দীপ০০০০০৪’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা সেই ভিডিয়োটি ইতিমধ্যে প্রায় ৭ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ২২ হাজার নেটাগরিক ভিডিয়োয় ভালবাসার চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন। সন্তানের জন্য বাবার অকৃত্রিম ভালবাসার ভিডিয়োটি মন ছুঁয়ে গিয়েছে নেটাগরিকদের। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীর সমস্ত সম্পদ এক দিকে, বাবা-মায়ের ভালবাসা অন্য দিকে।’’ দ্বিতীয় জন লিখেছেন, ‘‘বাবা হলেন পরিবারের মাথার উপর বটগাছের মতো। সমস্ত ঝড়ঝাপটা হাসিমুখে সহ্য করেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy