বুকে হাত দিয়ে চেয়ারে ঢলে পড়লেন সংস্থার কর্মী। তাঁর সেই অবস্থা দেখেও সাহায্য করতে এগিয়ে এলেন না সংস্থার মালিক। হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে সেই কর্মী মারা যান। তাঁর বস্ এক বার মুখ ঘুরিয়ে দেখে আবার ফোনালাপে মগ্ন হয়ে পড়েন। মধ্যপ্রদেশের হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ধরা পড়েছে সংস্থার সিসিটিভিতে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
আরও পড়ুন:
ছ’মিনিটের এই ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে সংস্থার এক কর্মচারী কাজ করতে করতে অসুস্থ বোধ করেন। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৪৫ বছর বয়সি কর্মীর স্বাস্থ্যের হঠাৎ করেই অবনতি ঘটে। কাজের মাঝে তিনি আচমকাই চেয়ারে বসে পড়েন। কিছু ক্ষণের মধ্যেই তাঁর শরীর অস্থির এবং শক্ত হয়ে যায়। বার বার হাত-পা ঠুকতে থাকেন। চেয়ারে বসে ব্যথায় কাঁপতে দেখা যায় তাঁকে। যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখে, সহকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়েন। অসুস্থ কর্মীকে সাহায্য করতে ছুটে যান। তাঁকে জল এগিয়ে দেন। ফুটেজে দেখা গিয়েছে কর্মী চেয়ারে বসে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। সংস্থার মালিক মাঝেমাঝে তাঁর দিকে তাকাচ্ছেন। আবার ফোনে কথা বলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কোনও সাহায্য করার চেষ্টা করতে দেখা যায়নি মালিককে।
আরও পড়ুন:
ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মর্মান্তিক ঘটনায় বিধ্বস্ত ও ক্ষুব্ধ কর্মীর পরিবার ন্যায় বিচারের দাবিতে সাসনার থানায় পৌঁছোয়। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকশো স্থানীয় মানুষ। থানায় জড়ো হয়ে ঘটনাটিকে কেবল দুর্ঘটনা নয় বরং অপরাধমূলক অবহেলার কারণে মৃত্যু বলে দাবি করেন। মৃতের পরিবারের এক সদস্যের অভিযোগ, ব্যথায় কাতর কর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, মালিক অন্যদেরও কাজ চালিয়ে যেতে বলেছিলেন। মালিক তাঁর চেয়ার ছেড়ে উঠেও দাঁড়াননি। ন্যায়বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। ভিডিয়োটি ‘অনুরাগ দোয়ারি’ নামের এক্স হ্যান্ডল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। প্রচুর লাইক ও কমেন্ট জমা পড়েছে তাতে।