বাড়ির বধূর সন্তান হচ্ছিল না। সন্তানধারণ যাতে দ্রুত হয় সে কারণে এক তরুণীকে টানা ১২ দিন জলের মধ্যে ডুবিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-পরিজনদের বিরুদ্ধে। আচার ও নিয়মনীতি পালনের নামে তরুণীকে নির্যাতন করা হয়েছে বলে দাবি উঠছে সমাজমাধ্যমে। সেই মর্মান্তিক ঘটনারই একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে এসেছে। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তেই তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
আরও পড়ুন:
সমাজমাধ্যমে প্রচারিত সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এক তরুণীকে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা টানা ১২ দিন ধরে জলে ডুবে থাকতে বাধ্য করছেন। এই আচার তরুণীর গর্ভধারণে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করে তাঁকে প্রায় দু’সপ্তাহ টানা জলের নীচে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। এই আচার পালনের বিরোধিতা এবং কান্নাকাটি সত্ত্বেও তরুণীকে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই স্থানীয় কয়েক জন ব্যক্তি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। সেই ঘটনা নিয়ে তীব্র বাদানুবাদ ও হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। তরুণীকে উদ্ধার করে আনা হয়।
এক্স হ্যান্ডলে ‘ওয়ানভিন্সিবল’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট হওয়া সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে এক মহিলা তরুণীর হাত চেপে ধরে রেখেছেন। তরুণী সন্ত্রস্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলছেন। এক তরুণ এসে মহিলাকে ভৎর্সনা করে কিছু বলছেন। মহিলার হাত থেকে তরুণীকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ভিডিয়োর শুরুতে নজরে পড়েছে তরুণীর অনিচ্ছাসত্ত্বেও জলে দাঁড় করিয়ে রেখে গলায় মালা পরিয়ে অনুষ্ঠান পালন করছেন ওই মহিলা।
আরও পড়ুন:
ভিডিয়ো দেখে শিউরে উঠেছেন নেটাগরিকেরা। ভিডিয়োটি এখনও পর্যন্ত ১২ লক্ষ বার দেখা হয়েছে। ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে নেটমাধ্যম জুড়ে। নেটাগরিকেরা তীব্র সমালোচনা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন মন্তব্য বিভাগে। ‘‘এটা কী ধরনের আচার? প্রতিটি আচার-অনুষ্ঠানের দায়িত্ব কেবল নারীদের?’’ প্রশ্ন তুলেছেন এক নেটমাধ্যম ব্যবহারকারী। অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘এই সমস্ত কু-আচার পালন না করে দু’পাতা বিজ্ঞান পড়লে সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।’’