সৌন্দর্যের দিক দিয়ে হিমাচল প্রদেশের স্পিতি উপত্যকার কোনও তুলনা হয় না। ছুটিতে তাই সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলেন একদল তরুণ-তরুণী। তবে ঘুরতে গিয়ে তাঁরা দেখা পেলেন ‘পাহাড়ের ভূত’-এর! আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ দিয়ে যখন পর্যটকদের গাড়ি এগিয়ে চলেছে, তখনই তাঁরা দেখতে পেলেন একটি তুষার চিতাবাঘকে। স্পিতি উপত্যকার রাস্তা ধরে সে-ও হেঁটে চলেছে। গাড়ির ভিতর বসে সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছেন এক পর্যটক। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘ডিক্যাম্পট্রাভেলার’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, রাস্তায় হেঁটে বেড়াচ্ছে একটি তুষার চিতাবাঘ। তার পিছনে ধীর গতিতে একটি গাড়ি এগিয়ে যাচ্ছে। গাড়িতে বসে থাকা এক পর্যটক এই বিরল দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করছেন। ঘটনাটি সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। কাজ়া থেকে নাকোর উদ্দেশে যাচ্ছিলেন পর্যটকেরা। তাবো পার হওয়ার ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পরেই তুষার চিতাবাঘটিকে দেখতে পান তাঁরা।
সাধারণত ‘দ্য ঘোস্ট অফ মাউন্টেন্স’ বা ‘পাহাড়ের ভূত’ নামে অধিক পরিচিত তুষার চিতাবাঘ। তারা অন্য যে কোনও চিতাবাঘের চেয়ে আলাদা। তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও অন্য রকম। অন্য যে কোনও চিতাবাঘের তুলনায় তুষার চিতাবাঘ মাঝারি আকারের হয়। তাদের শরীরের কাঠামো ১.৮ থেকে ২.৩ মিটারের মধ্যে হয়। তুষার চিতাবাঘের গায়ে হলদে রং থাকে ঠিকই। তবে সেই সঙ্গে থাকে কালচে ছোপ, ধোঁয়াটে রঙের আস্তরণও থাকে। তাদের চোখের রং ফ্যাকাশে ধূসর থেকে সবুজ রঙের হয়। তাদের লেজ লম্বায় ১ মিটার হয়।
আরও পড়ুন:
পুরুষ তুষার চিতাবাঘের ওজন হয় ৪৫-৫৫ কেজি। স্ত্রী তুষার চিতাবাঘের ওজন হয় ৩৫-৪০ কেজি। বাঘের যেমন গর্জন শোনা যায়, তুষার চিতাবাঘের কিন্তু কোনও তর্জন-গর্জন নেই। বরফে মোড়া পাহাড়ে নিজেদের এতটাই অদৃশ্য করে রাখে যে, ওদের উপস্থিতি টের পাওয়াই মুশকিল। তবে ওরা গোঁ গোঁ শব্দ করতে পারে। প্রজননের সময় ছাড়া তুষার চিতাবাঘেরা কখনওই একসঙ্গে ঘোরাফেরা করে না। বরং অধিকাংশ সময় একলা বিচরণ করে তারা। তুষারাবৃত পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা তুষার চিতাবাঘের। এতটাই উঁচু জায়গায় তারা থাকে যে, তাদের নাগাল পাওয়া দুঃসাধ্য। সাধারণত সমুদ্রপৃষ্ঠের ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ৪০০ মিটার উঁচুতে এদের দেখতে পাওয়া যায়।