উচ্চশিক্ষার জন্য বাড়ি ছেড়ে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন তরুণী। এক বছরের বেশি সময় ধরে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তাঁর। তাই বাবাকে চমক দেওয়ার সুযোগ পেয়ে আর হাতছাড়া করতে চাননি তরুণী। বাবাকে না জানিয়ে বাড়ি যাওয়ার টিকিট কেটে ফেলেন তিনি। এমন চমক পেতে পারেন তা আশাও করেননি প্রৌঢ়। এক বছর পর মেয়েকে হঠাৎ সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘বেহনাজ়ামটকেশ১’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, এক জন প্রৌঢ়ের চোখে হাত দিয়ে ঢেকে রেখেছিলেন এক জন তরুণী। সেই তরুণী আসলে কে, তা বুঝতে পারছিলেন না ওই প্রৌঢ়। চেয়ারের উপর চুপচাপ বসেছিলেন তিনি। তরুণী চোখ থেকে হাত সরাতেই ঘাড় ঘুরিয়ে পিছনে ফিরলেন প্রৌঢ়। তরুণীকে দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মাথায় হাত রেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি। তরুণীও নিজেকে সামলাতে পারলেন না।
আরও পড়ুন:
প্রৌঢ়কে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলেন তিনিও। ওই তরুণী আসলে প্রৌঢ়ের কন্যা। দু’জনেই তুরস্কের বাসিন্দা। উচ্চশিক্ষার জন্য তুরস্ক ছেড়ে রাশিয়ায় চলে যান তিনি। সেখানকার একটি কলেজ থেকে দন্ত্যচিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করছেন তরুণী। ভিডিয়ো থেকে জানা যায় যে, গত এক বছর ধরে বাড়ি আসার সময় পাননি তিনি। তাই সুযোগ পেতে কাউকে না জানিয়ে বাড়ি চলে আসেন তরুণী। বাবাকে চমকে দেওয়ার জন্যই এ ভাবে চোখ ঢেকে রেখেছিলেন তিনি। এক বছর পর মেয়েকে দেখে যারপরনাই খুশি হন তাঁর বাবা। মেয়ের উপহার পেয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি।