ভিতর থেকে বন্ধ ছিল দূরপাল্লার ট্রেনের একটি শৌচালয়ের দরজা। অনেক ধাক্কাধাক্কি করেও লাভ হয়নি। অবশেষে দরজা ভাঙলেন রেল আধিকারিকেরা। আর ভিতরে যা দেখলেন, তা দেখে থ’ হয়ে গেলেন। সে রকমই একটি ঘটনার ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যম ফেসবুকে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। ঘটনাটি কবে এবং কোথায় ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে তা-ও ওই ভিডিয়ো থেকে স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন:
ভারতে অগণিত মানুষ প্রতি দিন ট্রেনে যাতায়াত করেন। পণ্য পরিবহন হোক বা ভ্রমণ, কম খরচায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়ার জন্য ভারতীয় রেলকেই বেছে নেন দেশের বহু মানুষ। তবে সেই ট্রেনেই এ বার ঘটে গেল এক অদ্ভুত ঘটনা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি ট্রেনের শৌচালয় প্রায় ছ’ঘণ্টা ধরে ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বিষয়টি দেখে সংলগ্ন কামরার যাত্রীরা টিকিট পরীক্ষককে বিষয়টি জানান। টিকিট পরীক্ষক এবং রেলের অন্য কয়েক জন কর্মী এসে ওই শৌচালয়ের দরজায় ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন। তবুও দরজা খোলে না। কোনও সাড়াশব্দ না মেলায় উদ্বেগ ছড়ায়। যাত্রীসুরক্ষার কথা ভেবে এর পর জোর করে দরজা খোলার চেষ্টা করেন রেলকর্মীরা। প্রায় ছ’ঘণ্টা পরে শৌচালয়ের দরজা খুলতে সক্ষম হন তাঁরা। কিন্তু দরজা খুলতেই অবাক হয়ে যান।
আরও পড়ুন:
শৌচালয়ের দরজা খুলতেই হোঁচট খেয়ে বেরিয়ে আসেন এক যুবক। মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন তিনি। তাঁকে দেখামাত্র রেলকর্মী এবং যাত্রীরা হতবাক হয়ে যান। ছ’ঘণ্টা ধরে শৌচালয় আটকে তিনি কী করছিলেন? প্রশ্ন করা হলেও স্পষ্ট ভাবে কোনও উত্তর দিতে পারেননি যুবক। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও তিনি ইচ্ছাকৃত ভাবে শৌচালয়ে ঢুকেছিলেন কি না বা নেশার ঘোরে সেখানে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি ফেসবুকে পোস্ট করা হয়েছে কোমল বর্মা নামের এক ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। ভিডিয়োটি দেখে নেটাগরিকদের একাংশ যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমনই অনেকে আবার বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। বিরক্তিও প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম গুরুতর কিছু হবে। তার পর দেখলাম মাতালের কাণ্ড।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘যুবকের শাস্তি হওয়া উচিত। এ রকম করে বাকি যাত্রীদের অসুবিধা করার অর্থ কী?’’ তৃতীয় এক জন লিখেছেন, ‘‘সম্ভবত টিকিট না থাকার কারণে মদ্যপ যুবক শৌচালয়ে লুকিয়ে ছিলেন।’’