রাজস্থানের বিশেষ কিছু এলাকায় বিয়ের পর কনেকে প্রথমে শ্বশুরের সঙ্গে এবং তার পরে দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে হয়। শেষে মিলন হয় স্বামীর সঙ্গে। প্রথম বাচ্চাও নাকি নষ্ট করে দিতে হয়! একটি পডকাস্টে যোগ দিয়ে এমনই একগুচ্ছ দাবি করেছিলেন এক মহিলা। আর তা নিয়েই তদন্তে নেমে বিষয়টিকে ভুয়ো বলে জানাল অসরকারি সংস্থা ‘ন্যাশনাল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (এনসিআইবি)’।
আরও পড়ুন:
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সম্প্রতি একটি পডকাস্টে যোগ দিয়ে রাজস্থানের বিয়ের রীতিনীতি নিয়ে ওই অদ্ভুত দাবি করেন এক তরুণী। তিনি দাবি করেন, রাজস্থানের কিছু অঞ্চলে এক জন মেয়েকে বিয়ের পর তাঁর স্বামীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হওয়ার আগে শ্বশুর এবং দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে হয়। তাঁর গর্ভে আসা প্রথম সন্তানকেও নষ্ট করে দিতে হয়। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয় পডকাস্টের ভিডিয়োটি। রাজস্থানের সাধারণ জনগণের মনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। তৈরি হয় বিতর্ক। তদন্তে নামে এনসিআইবি।
আরও পড়ুন:
এক্স হ্যান্ডলে বিতর্কিত সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে এনসিআইবির তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই তরুণী যা দাবি করেছেন তা সর্বৈব মিথ্যা। তদন্ত করে তরুণীর ওই দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। রাজস্থানের কোথাও বিয়ের এমন অদ্ভুত রীতি নেই। তাই এই ধরনের বিতর্কিত তথ্য বিশ্বাস করার আগে জনগণকে তা যাচাই করে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে এনসিআইবির তরফে। ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর জন্য তরুণীর নিন্দাও করেছে অসরকারি সংস্থা।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, ভিডিয়োটি নিয়ে হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। বিষয়টিকে ‘সস্তা প্রচার’ বলে তকমা দিয়েছেন নেটাগরিকেরা। অনেকে দাবি করেছেন, এই ধরনের মন্তব্য একটি নির্দিষ্ট রাজ্যের মানুষের প্রতি ঘৃণার জন্ম দিতে পারে। সে রাজ্যের ভাবমূর্তি নষ্টও করতে পারে। আর তাই বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তরুণীর বিরুদ্ধে অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নেটাগরিকদের একাংশ। অসরকারি সংস্থার তরফে রাজস্থান পুলিশের কাছে তরুণীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।