E-Paper

পুরনো শত্রুতার জেরেই ছক কষে খুন টিটাগড়ে

তদন্তকারীরা জানান, ছোটকা ও আরমান পূর্ব পরিচিত। ওরনপাড়ার এ কে আজাদ রোডে ছোটকার বাড়ির পাশেই আরমানের শ্বশুরবাড়ি। বছর আড়াই আগে পারিবারিক কলহের জেরে আরমানের স্ত্রী ফিরদৌসকে আক্রমণ করেছিলেন ছোটকা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৭:৪৩
An image of Gun

—প্রতীকী চিত্র।

টিটাগড়ে খুনের ঘটনায় বুধবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল হোসেন রাজা ওরফে আরমান এবং আরও এক অভিযুক্তকে। বৃহস্পতিবার আরমানকে ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত দেওয়া হয়। অন্য অভিযুক্ত অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় জুভেনাইল আদালতের নির্দেশে তাকে হোমে পাঠানো হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় আরমান মহম্মদ হাসান ওরফে ছোটকাকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। পুলিশ আধিকারিকেরা জানান, একেবারেই ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে খুন করা হয়েছে। খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি উত্তরপ্রদেশ থেকে আনানো হয়েছিল।

তদন্তকারীরা জানান, ছোটকা ও আরমান পূর্ব পরিচিত। ওরনপাড়ার এ কে আজাদ রোডে ছোটকার বাড়ির পাশেই আরমানের শ্বশুরবাড়ি। বছর আড়াই আগে পারিবারিক কলহের জেরে আরমানের স্ত্রী ফিরদৌসকে আক্রমণ করেছিলেন ছোটকা। মহিলা তখন অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ফিরদৌস ও আরমানের পুত্রসন্তান জন্মের পর থেকেই শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থ। তাকে বহু চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হলেও সকলেই ফিরদৌসের গর্ভাবস্থায় পেটে আঘাত লাগাকে দায়ী করেছেন শিশুটির ওই অবস্থার জন্য। তদন্তকারীরা জানান, জেরায় এমনটাই দাবি করেছে আরমান।

সেই আক্রোশ থেকেই একটি খুনের ঘটনায় ধরা পড়া ছোটকা তিন মাস আগে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকায় ফিরলে তাঁকে খুনের ছক কষে আরমান। ব্যারাকপুরের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ওরনপাড়াতেই পর পর তিনটি ঘটনা ঘটেছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা আরও কঠোর হওয়া উচিত। অপরাধীরা তিন-ছ’মাসের মধ্যে জামিন পেয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অপরাধপ্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Crime Death Murder Titagarh

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy