Advertisement
E-Paper

ছাত্রীদের কামাই বন্ধ করতে স্কুলে বসল ভেন্ডিং মেশিন

সম্প্রতি স্কুলে বারো হাজার টাকা ব্যয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করলেন তিনি। ফলে ছাত্রী ও শিক্ষিকারা ঋতুস্রাবের সময়ে হওয়া সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চলেছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৩৩
ভেন্ডিং মেশিনের সামনে ছাত্রীরা। অশোকনগরে। নিজস্ব চিত্র

ভেন্ডিং মেশিনের সামনে ছাত্রীরা। অশোকনগরে। নিজস্ব চিত্র

প্রধান শিক্ষক হিসেবে অশোকনগর-কল্যাণগড় বিদ্যামন্দির স্কুলে তিনি এসেছেন মাত্রই মাসখানেক আগে। এসেই তিনি খেয়াল করলেন, ঋতুস্রাবের কারণে ছাত্রীরা মাঝে-মধ্যেই স্কুল কামাই করে ফেলছে। এ কারণে কেউ কেউ স্কুলে এসেও বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। শিক্ষিকারাও নিয়মিত এ সংক্রান্ত সমস্যায় পড়েন।

সমস্যা সমাধান করলেন প্রধান শিক্ষক চপলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি স্কুলে বারো হাজার টাকা ব্যয়ে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানোর ব্যবস্থা করলেন তিনি। ফলে ছাত্রী ও শিক্ষিকারা ঋতুস্রাবের সময়ে হওয়া সমস্যা থেকে রেহাই পেতে চলেছেন।

স্কুলটি পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত। এতদিন বেশির ভাগ সময়েই ঋতুস্রাবের সময়ে নানা সমস্যা ও অস্বস্তিতে পড়তে হত মেয়েদের এবং শিক্ষিকাদের। ছাত্রীরা জানাল, ঋতুস্রাবের সময়ে অস্বস্তি এড়াতে অনেক ক্ষেত্রেই কয়েকদিনের জন্য স্কুলে আসাই বন্ধ করে দিতে হত তাদের। কখনও কখনও শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে ক্লাস অসমাপ্ত রেখেই বাড়িও ফিরে যেত। কেউ কেউ শিক্ষিকাদের অনুমতি নিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে কিনে আনত ন্যাপকিন। ওই সব সমস্যা মেটাতেই স্কুলে স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন বসানো হল।

স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র ৫ টাকার একটি কয়েন খরচ করলেই মেশিন থেকে মিলবে ন্যাপকিন। সেটি ব্যবহারের জন্য মেয়েদের আলাদা কমনরুমও তৈরি করা হয়েছে। ফলে খুশি ছাত্রী ও শিক্ষিকারা। স্কুলের ছাত্রী ও শিক্ষিকারা ছাড়াও ওই ভেন্ডিং মেশিনের সুবিধা পাবেন অন্য স্কুলের ছাত্রী বা শিক্ষিকারাও। এমনকি কোনও অভিভাবিকারাও নিজেদের প্রয়োজনে মেশিনটি থেকে ন্যাপকিন সংগ্রহ করতে পারবেন।

Menstruation Napkin Vending Machine
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy