Advertisement
০৪ মে ২০২৪
Adenovirus

ভর্তি বহু শিশু, পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ বসিরহাটে

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বসিরহাট জেলা হাসপাতালে শিশুদের জন্য বরাদ্দ শয্যার সংখ্যা ৫৭। সেখানে জ্বর এবং সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে একশোর কাছাকাছি শিশু ভর্তি।

চিকিৎসা: হাসপাতালে ভর্তি এমন অনেক শিশু। — ছবি: নির্মল বসু

চিকিৎসা: হাসপাতালে ভর্তি এমন অনেক শিশু। — ছবি: নির্মল বসু

নিজস্ব সংবাদদাতা
বসিরহাট, হাবড়া শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৩ ০৮:৫৯
Share: Save:

বসিরহাট জেলা হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে শিশুদের। গত কয়েক দিনে জ্বর, সর্দি, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে বহু শিশু ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে। পরিষেবা দিতে হিমসিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসকদের।

এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বাচ্চাদের ছুটি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন অভিভাবকেরা।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বসিরহাট জেলা হাসপাতালে শিশুদের জন্য বরাদ্দ শয্যার সংখ্যা ৫৭। সেখানে জ্বর এবং সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট নিয়ে একশোর কাছাকাছি শিশু ভর্তি। শিশুদের সঙ্গে রয়েছেন পরিজনেরাও। ফলে শিশুদের ওয়ার্ডে ঠেলাঠেলি-গুঁতোগুঁতি চলছে। এক একটা শয্যায় চার-পাঁচজনকে রাখতে হচ্ছে বলে অভিযোগ। বহির্বিভাগেও প্রচুর শিশু আসছে রোজ। লম্বা লাইন পড়ছে। চিকিৎসকের সংখ্যা কম থাকায় ঠিক মতো পরিষেবা জুটছে না বলে অভিযোগ শিশুদের আত্মীয়দের।

স্বাস্থ্যজেলার আধিকারিক বলেন, “প্রতি দিন ৪০-৫০ জন শিশু জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে হাসপাতালে আসছে। বর্তমানে অন্তত ৮০ জন ভর্তি। তবে হাসপাতালে অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় নমুনা নাইসেডে পাঠানো হচ্ছে। কেউ অ্যাডিনো আক্রান্ত হয়েছে কি না, তা রিপোর্ট এলে তবেই জানা যাবে।” স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, হাসপাতালে ৪ জন শিশু রোগের চিকিৎসক আছেন। আরও কয়েক জন হলে সুবিধা হয়।

অন্য দিকে, শিশুদের জ্বর, অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ রুখতে হাবড়া পুরসভার তরফে সহায়তা কেন্দ্র করা হল হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতাল চত্বরে। জ্বরে আক্রান্ত ‘রেফার’ রোগীদের কলকাতায় নিতে যাতে সমস্যা না হয়, সে জন্য অর্ধেক ভাড়ায় অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে এই মুহূর্তে ৩১টি শয্যায় প্রায় ৫০ জন ভর্তি। জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে আসছে তারা। অ্যাডিনোভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই হাবড়া হাসপাতালে। তাই জ্বর, সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্টের রোগীদের বাড়াবাড়ি দেখলে সরাসরি কলকাতার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বা ফুলবাগানে শিশু হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পুরসভার সহায়তা কেন্দ্র থাকবে বলে জানান পুরপ্রধান নারায়ণচন্দ্র সাহা। বলেন, ‘‘অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের খুব প্রয়োজন ছাড়া ছুটি নিতে বারণ করা হয়েছে। জ্বর আছে কি না, বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টাই সহায়তা কেন্দ্র খোলা থাকবে।’’ চলতি সপ্তাহে পুরসভার তরফে পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার হাবড়া হাসপাতালের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এর আগে কোভিডের সময়েও হাসপাতালে এ ধরনের সহায়তা কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Adenovirus Basirhat Habra
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE