কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের আধিকারিকের উপর হামলার ঘটনার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের মেগাসিটি আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করল পুলিশ-প্রশাসন। শুল্ক আধিকারিকের ফ্ল্যাটে ঢুকে অটোচালক এবং তাঁর দলবলের মারধরের ঘটনার পর সেখানকার বাসিন্দারা নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট আবাসনের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ‘বিশেষ ব্যবস্থা’ নিচ্ছে পুলিশ।
এখন থেকে বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত চলবে পুলিশ পোস্টিং থাকবে সোনারপুরের ওই আবাসনে। রাতেও পুলিশের নিয়মিত টহলদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মেগাসিটি আবাসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সোনারপুর দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক লাভলী মৈত্র (অরুন্ধতী মৈত্র)। উপস্থিত ছিলেন সোনারপুর থানার আইসি আশিস দাস, রাজপুর–সোনারপুর পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজীব পুরোহিত-সহ পুলিশ-প্রশাসনের অন্যান্য প্রতিনিধি। গভীর রাত পর্যন্ত আলোচনা হয়।
ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটে, সেই বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। বাসিন্দাদের দেওয়া হয়েছে থানার নম্বর, আইসি আশিস দাস ও পিসি পার্টির ইনচার্জ সুরজিৎ দাসের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর। যাতে যে কোনও প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করা যায়। আবাসনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাতের ঘটনার পর থেকে তাঁরা আতঙ্কিত। তবে প্রশাসনের পদক্ষেপ এবং ওই বৈঠকের পর কিছুটা হলেও স্বস্তিবোধ করছেন। বিধায়ক লাভলী বলেন, ‘‘এখানে যাঁরা থাকেন, তাঁদের সকলের সঙ্গে দেখা করেছি। বৈঠক হয়েছে। প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছিলেন ওঁরা। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে, সে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনও তাঁদের পদক্ষেপের কথা জানিয়েছে।’’ অন্য দিকে, মেগাসিটি আবাসনের সম্পাদক নীতিশ বনসল জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতির কথা তাঁরা তুলে ধরেছিলেন তাঁরা। প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার মেগাসিটি আবাসনের বাসিন্দা এক কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরের আধিকারিকের সঙ্গে এক অটোচালকের রাস্তায় বিতণ্ডা হয়। এর পর দলবল নিয়ে তাঁর ফ্ল্যাটে ঢুকে মারধর করেন অটোচালক এবং তাঁর সঙ্গীরা। মাথা ফাটে শুল্ক দফতরের আধিকারিকের। তাঁর স্ত্রী-পুত্রকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন গ্রেফতার হন। পরে আদালত থেকে তাঁরা জামিনও পেয়েছেন। অন্য দিকে, ওই শুল্ক দফতরের আধিকারিকের বিরুদ্ধে অটোচালক থানায় অভিযোগ করেছেন। দাবি, তাঁর মায়ের শ্লীলতাহানি করেছেন শুল্ক দফতরের আধিকারিক। দুই ঘটনাতেই তদন্ত চলছে।