Advertisement
E-Paper

বেআইনি ভাবে বর্জ্য পোড়ানোর অভিযোগ

এলাকার মানুষের দাবি, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চিমনি না লাগিয়ে বেআইনি ভাবে ওই কারখানায় বর্জ্য পোড়ানো হয়। এর ফলে এলাকায় দূষণের মাত্রা বাড়ছে। আগুনের শিখা কখনও কখনও ২০-৩০ ফুট পর্যন্ত উপরে উঠতে দেখা যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২০ ০২:৫৪
 দূষণ। ছবি: নির্মল বসু

দূষণ। ছবি: নির্মল বসু

বেশ কিছু দিন ধরে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা-বাদুড়িয়া রাস্তার পাশে একটি ভাঙাচোরা লোহালক্কড় কেনাবেচার কারখানা চলছে। অভিযোগ, সেখানে প্রায় প্রতিদিনই অপ্রয়োজনীয় বর্জ্য পোড়ানো হয়। সেই পোড়ানো বর্জ্যের কালো ধোঁয়ায় দূষিত হয় পরিবেশ। পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি, কারখানার আগুনের শিখা থেকে বিপদের আশঙ্কাও করছেন স্থানীয় যদুরহাটি পঞ্চায়েতের উত্তর শেরপুর এলাকার মানুষ। কারখানার পাশে একটি পেট্রল পাম্প রয়েছে। কারখানার আগুনে যে কোনও দিন বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এলাকার মানুষের দাবি, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চিমনি না লাগিয়ে বেআইনি ভাবে ওই কারখানায় বর্জ্য পোড়ানো হয়। এর ফলে এলাকায় দূষণের মাত্রা বাড়ছে। আগুনের শিখা কখনও কখনও ২০-৩০ ফুট পর্যন্ত উপরে উঠতে দেখা যায়। পথচলতি মানুষের গায়ে উড়ে এসে পড়ে কালো ছাই। দূষণ রুখতে অবিলম্বে কারখানায় বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের দাবি জানান তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবে আগুন জ্বালিয়ে বর্জ্য পোড়ানোয় স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রেহাই পেতে তাঁরা সোচ্চারও হয়েছেন।

স্থানীয় পেট্রল পাম্পের কর্মী আব্দুল জব্বার বলেন, “যে ভাবে আগুনের শিখা ওড়ে তাতে যে কোনও দিন পেট্রল পাম্প পুড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” স্থানীয় যদুরহাটি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য সেলিম মণ্ডল বলেন, “কারখানার ছাই উড়ে পাশের জমিতে পড়ায় ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। দূষণ ছড়াচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার কারখানা মালিককে সর্তক করা হলেও মালিক তা শুনছেন না।” কারখানার মালিক রুহুল আমিন মণ্ডল বলেন, “আমি চাই না মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোন। মানুষের অভিযোগ থাকলে, আমি অবশ্যই বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।”

Wastage Complaint Basirhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy