সম্যক চৌধুরী। — নিজস্ব চিত্র।
বিদেশে ডাক্তারি পড়তে গিয়ে ঋণের দায়ে জর্জরিত উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরের এক তরুণ। তাঁর পরিবারের দাবি, ওই তরুণ সহায় সম্বলহীন হয়ে বিদেশের পথে পথে ঘুরছেন। তাঁকে বাড়ি ফেরানোর জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ ওই তরুণের বাবা-মা।
সোদপুরের পানিহাটি পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সনৎকুমার চৌধুরী এবং কাকলি চৌধুরী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রোডের নীহারিকা আবাসনের ওই দম্পতির একমাত্র সন্তান সম্যক। সনতের দাবি, দিল্লি থেকে এমএসসি করার পর ডাক্তারি পড়তে জর্জিয়া গিয়েছিয়েছিলেন তাঁর ছেলে। সম্প্রতি তিনি ডাক্তারি পাশও করেন। সনতের কথায়, ‘‘গত জুলাই মাসে আমার ছেলে ডাক্তারি পাশ করেছে। কিন্তু ওই সময় তাকে কুকুর কামড়ায়। শারীরিক ভাবে অসুস্থও হয়ে পড়ে। সেই সময় ওখানকার বন্ধুবান্ধবদের থেকে ঋণ নিয়েছিল। আমরাও সেই সময় এতটা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ি যে, ওকে টাকা পাঠাতে পারিনি। কিন্তু আমার ছেলে ঋণ শোধ করতে না পারায় তার জিনিসপত্র ঘরে আটকে রেখে তাকে ভাড়াবাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। সে এই মুহূর্তে বাইরে বাইরে ঘুরছে। এই অগস্টেই তার ভিসার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।’’
একমাত্র সন্তানের এমন দুরবস্থার কথা শুনে আতঙ্কে রয়েছেন সনৎ-কাকলি। সম্যকের বাবার কথায়, ‘‘বন্ধু-বান্ধব এবং অনেকে আমার ছেলেকে ফেসবুকে বিদ্রূপ করছে। এটা তার কাছে দুঃসহ হয়ে গিয়েছে। আমাদের কাছে ছেলে বলছে, তার আর বাঁচার ইচ্ছা নেই। কিন্তু আমরা মা-বাবা! আমাদের তো মন মানে না।’’ সনৎ আরও বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টির কথা জানিয়ে আমরা পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। মহকুমাশাসকের দফতর থেকে উদ্যোগ নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। আশা করা যায়, ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।’’ এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শরণাপন্ন হওয়ার কথাও জানিয়েছেন সনৎ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy