E-Paper

ভুয়ো ডাকাতির ঘটনায় পুনর্নির্মাণ

সোমবার সন্ধ্যায় রাখিকে হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ঘরের বারান্দা থেকে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৪ ০৮:৩৫
এলাকায় আনা হয়েছে ধৃতদের।

এলাকায় আনা হয়েছে ধৃতদের। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।

ডাকাতির সাজানো ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল ক্যানিং থানার পুলিশ।

বুধবার বিকেলে আইসি ক্যানিং সৌগতকুমার ঘোষের নেতৃত্বে পুলিশ ধৃত রাখি প্রামাণিক, তার মা সারথী প্রামাণিক ও মায়ের প্রেমিক বাপি মোল্লাকে নিয়ে ক্যানিংয়ের দিঘিরপাড় গ্রামে আসেন। সারথীর দেওর বিমল প্রামাণিকের ঘর থেকে কী ভাবে ১০ লক্ষ টাকা লুট করা হয়েছিল রাখিকে বেঁধে রেখে, তার পুনর্নির্মাণ করা হয়।

সোমবার সন্ধ্যায় রাখিকে হাত, পা, মুখ বাঁধা অবস্থায় প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে ঘরের বারান্দা থেকে। রাখির বক্তব্য ছিল, তিন দুষ্কৃতী মোটর বাইকে করে এসে তাঁকে ছুরি দেখিয়ে বেঁধে রেখে লুটপাট চালিয়েছে। কাকার আলমারিতে থাকা টাকা, সোনার গয়নাও নিয়ে পালিয়েছে।

তদন্তে নেমে পুলিশ রাখির বক্তব্যে অসঙ্গতি পায়। তাকে জেরা করে সত্যি সামনে আসে। জানা যায়, সারথী, বাপি, রাখিরা মিলেই ডাকাতির গল্প ফেঁদেছিল। সারথী ও বাপিকে ভাঙড় থেকে গ্রেফতার করে ক্যানিং থানার পুলিশ। উদ্ধার হয় টাকা, মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী। রাখিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক ধৃতদের চার দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

বিমল বলেন, ‘‘নিজেদের লোক যে এই ধরনের নোংরা কাজ করতে পারে, ভাবতেও পারিনি!’’ গ্রামের মানুষও বিস্মিত। স্থানীয় বাসিন্দা বিশাখা দাস, নিতাই মণ্ডলেরা বলেন, “এমন ঘটলে মানুষ আর কাকে বিশ্বাস করবে!’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Canning Robbery

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy