চাঁদার জুলুমের প্রতিবাদ করায় পুজো উদ্যোক্তার চড়ে কান ফাটল এক মাংস বিক্রেতার। অভিযোগ, নৈহাটির গৌরীপুর বাজারে যে দুর্গাপুজো হয়, তারই অন্যতম উদ্যোক্তা, স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সম্পাদক তথা এলাকারই একটি স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক অশোক সাউ সোমবার রাতে একটি মুরগির মাংসের দোকানিকে চাঁদা নিয়ে বচসার জেরে মারধর করেন। মারধরের সময়ে দীপক চক্রবর্তী নামে ওই দোকানির জামার কলার তাঁর মুঠোয় ধরা থাকায় টানাহেঁচড়ায় সেটি ছিঁড়ে যায়। দীপক মঙ্গলবার অভিযোগ করেন, ‘‘শিক্ষকসুলভ আচরণ অশোক করেননি। ক্ষমতার দম্ভে চাঁদার জুলুম করেন প্রতিবারই। এমনিতেই পূর্ত দফতরের নোটিসে ফুটপাতের দোকান তুলতে হয়েছে রাস্তা ও নিকাশির কাজের জন্য। পুজোর আগে বাজার খুব খারাপ। তার মধ্যে এক হাজার টাকা দাবি করা হয়। আপত্তি করায় জোটে হুমকিও।’’
ওই মাংস বিক্রেতার পরিবারের আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত শাসকদলের ছত্রচ্ছায়ায় থাকেন বলে হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায় করেন। যে ভাবে দোকানে চড়াও হয়ে মারধর করা হয়েছে, তাতে আঘাত আর একটু বেশি হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত বলে অভিযোগ করেছেন আক্রান্তের স্ত্রী। এ দিন ঘটনাটি নৈহাটি থানায় ও স্থানীয় পুরপ্রতিনিধির কাছে জানিয়েছেন তাঁরা। নৈহাটি পুরসভার ন’নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে গৌরীপুর এলাকাটি। স্থানীয় পুরপ্রতিনিধি, তৃণমূলের রুদ্রাণী বসুরায় বলেন, ‘‘আমরা খুবই বিচলিত এবং বিব্রত এই ধরনের ঘটনায়। দীপকদা দীর্ঘদিনের পরিচিত। তাঁর সঙ্গে অভিযুক্ত এমন আচরণ করবেন, ভাবতেও পারছি না। দলের ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছি। দলের মধ্যে থেকেও কিছু মানুষ ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। এটা দুর্ভাগ্যের।’’
অভিযুক্ত পাল্টা দাবি করেছেন, ‘‘চাঁদা চাইতে গেলে গালিগালাজ শুনতে হয়েছিল। যা ঘটেছে তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়।’’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘নতুন আইনে (ভারতীয় ন্যায়সংহিতা) প্রবীণ ব্যক্তিকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন বদলেছে। আমরা ঘটনাটি পর্যবেক্ষণে রেখেছি।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)