বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এই টোটোকে ঘিরে বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
এলাকার মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য গোসাবা ব্লক প্রশাসনের নির্দেশে বিপ্রদাসপুর পঞ্চায়েতের তরফে একটি টোটো কেনা হয়েছিল মাস চারেক আগে। অভিযোগ, সরকারি টাকায় কেনা সেই টোটোটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কেনা সেই টোটোতে বর্তমানে যাত্রী পরিবহণ করা হচ্ছে বে অভিযোগ। পঞ্চায়েত প্রধান মুন্না সরকার ও তাঁর স্বামী তথা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি অমরেশ সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পঞ্চায়েতের এক সদস্য আখতার আলি সর্দার। এ বিষয়ে গোসাবা ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি।
পঞ্চায়েত ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সেপ্টেম্বর মাসে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিপ্রদাসপুর পঞ্চায়েতের তরফে টোটো কেনার বরাত দেওয়া হয়েছিল বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থাকে। কয়েকদিনের মধ্যে পঞ্চায়েতে চলে আসে সেই টোটো। কিন্তু অভিযোগ, এলাকার একজনকে টাকার বিনিময়ে সেটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। টোটোটির পিছনে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজে ব্যবহারের জন্য লাগানো হাইড্রলিক ব্যবস্থাপনাকে সরিয়ে দিয়ে সেটিকে যাত্রী পরিবহণের উপযোগী করে তোলা হয়েছে। বিপ্রদাসপুর দ্বীপেই সেটি চলছে।
আখতারের দাবি, “পঞ্চায়েতের সরকারি টাকায় কেনা এই টোটোটিকে রাতের অন্ধকারে প্রধান ও প্রধানের স্বামী মিলে বাইরে বিক্রি করে দিয়েছেন। রাতারাতি সেটির ভোল পাল্টে ফেলে তাতে যাত্রী বহন করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য বিডিওকে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।”
গোসাবার বিডিও বিশ্বরূপ বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে।” এই বিষয়ে প্রধানের প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে প্রধানের স্বামী তথা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি বলেন, “অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি।” গোসাবা ব্লক তৃণমূলের নেতা তথা জেলা পরিষদের উপাধ্যক্ষ অনিমেষ মণ্ডল বলেন, "যদি কেউ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকে, থেকে প্রমাণ হলে দল অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। প্রশাসনকে বলব, বিষয়টা তদন্ত করে সঠিক তথ্য সামনে আনতে।"
বিরোধীরা অবশ্য এ নিয়ে কটাক্ষ শুরু করেছে। বিজেপির গোসাবা ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি তরুণ খাঁ বলেন, “এটা তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। দুর্নীতিতে ভরা গোটা দলটা। দলের মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রধান, সকলেই চোর।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy