প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়াল ক্যানিংয়ের মধুখালি বাজার এলাকায়। বুধবার সন্ধ্যায় এই ঘটনায় দু’পক্ষের সাতজন জখম হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন আচমকাই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে যুব তৃণমূল কর্মীদের হাতাহাতি বেধে যায়। দু’পক্ষের মারামারিতে দু’জন যুব তৃণমূল কর্মী ও পাঁচজন তৃণমূল কর্মী জখম হয়েছেন। ক্যানিং থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
যুব তৃণমূলের অভিযোগ, পশ্চিম মধুখালি গ্রামে তাদের একটি কর্মী বৈঠক ছিল। সেই বৈঠক শেষে বাড়ি ফেরার পথে এলাকার তৃণমূল নেতা তথা অঞ্চল সভাপতি খতিব সর্দারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় যুব তৃণমূল কর্মীদের উপরে। যুব তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দার বলেন, “বার বার এই এলাকায় যুব তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে খতিব ও তাঁর লোকেরা। এ দিনও একই ঘটনা ঘটেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে খতিব বলেন, “বহিরাগতরা এসে মধুখালি বাজারে ঝামেলা করছিল। এলাকার মানুষ সেই ঘটনার প্রতিবাদ করতেই একটা গোলমাল হয়। যুব তৃণমূলের নাম করে বিজেপি, আরএসএসের লোকেদের এলাকায় এনে অশান্তি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।” বিজেপি নেতা পবিত্র সাফুই বলেন, “নিজেদের দলের কোন্দল ঢাকতে বিজেপির নামে দোষ দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে বিজেপি জড়িত নয়। এটা সম্পূর্ণ তৃণমূলের এলাকা দখলের লড়াই।” দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কোঅর্ডিনেটর পরেশরাম দাস বলেন, “একটা ঝামেলার কথা শুনেছি। তবে এই ঘটনার মধ্যে কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। ক্যানিং পশ্চিম বিধানসভায় কোনও গোষ্ঠী কোন্দলও নেই তৃণমূলের। এই ঘটনায় যারা দোষী, পুলিশ-প্রশাসনকে বলব, তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy