Advertisement
E-Paper

বরাদ্দ নিয়েই, প্রশ্ন দক্ষিণে

করোনা-সতর্কতার জন্য রাজ্য জুড়ে স্কুল-কলেজের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও আপাতত এক মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২০ ০২:২৫
দেওয়া হচ্ছে খাবার। ভাঙড়ে। ছবি: সামসুল হুদা

দেওয়া হচ্ছে খাবার। ভাঙড়ে। ছবি: সামসুল হুদা

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নিদানে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নিয়ে। প্রশাসন জানিয়েছে, কেন্দ্র বন্ধ থাকলেও সেগুলির উপর নির্ভরশীল শিশু, ও প্রসূতিরা বাড়িতে বসেই চাল এবং আলু পাবেন। নির্দেশ জারি হওয়ার পর দু’দিন পার হয়ে গেলেও বুধবারও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশিরভাগ এলাকায় চালু হয়নি চাল-আলু বিলির কাজ।

করোনা-সতর্কতার জন্য রাজ্য জুড়ে স্কুল-কলেজের পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও আপাতত এক মাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় শিশু ও প্রসূতিদের। এই অবস্থায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের উপর ভার পড়েছে তাদের বাড়িতে বাড়িতে চাল এবং আলু পৌঁছে দেওয়া। প্রশাসনিক এক কর্তা জানান, আপাতত যা নির্দেশ এসেছে, তাতে এককালীন মাথাপিছু দু’কেজি আলু এবং দু’কেজি চাল দেওয়া হবে। পরবর্তিতে নতুন নির্দেশ এসে ফের তা বিলি হবে। এক মাসের জন্য এই বরাদ্দ যথেষ্ট কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ডায়মন্ডহারবার ও কাকদ্বীপ মহকুমার কোনও এলাকাতেই বুধবার চাল-আলু দেওয়ার কাজ শুরু হয়নি। মহকুমা প্রশাসনের এক কর্তা জানান, নির্দেশিকা এলেও চাল-আলু এখনও এসে পৌঁছয়নি। তার ফলেই বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করা যায়নি। বৃহস্পতিবার থেকে কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী তিনি। একই ছবি জয়নগর এলাকাতেও। জয়নগর ১ ব্লকের এক আধিকারিক জানান, বুধবার নির্দেশিকা এসেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি চাল-আলু পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে যাবে।

ক্যানিং ২ ব্লকের ৯টি পঞ্চায়েত এলাকায় অবশ্য বুধবার সকালে থেকেই চাল-আলু বিলি শুরু হয়েছে। প্রশাসনের হিসেব অনুযায়ী ব্লকের ৩৮৪টি কেন্দ্র থেকে এদিন প্রায় সাত হাজার মহিলা ও শিশুদের কাছে চাল-আলু পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ভাঙড় ১-২ এবং সোনারপুর ব্লকেও খাদ্য সামগ্রী বিলি শুরু হয়েছে এ দিন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত এককালীন ২কেজি চাল ও আলু বরাদ্দ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে চাল অঙ্গনওয়াড়িতে গুলিতে পাঠানো শুরু হয়েছে। আর অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরা আর্থিক বরাদ্দ অনুযায়ী আলু কিনে তা উপভোক্তাদের বিলি করবেন। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলি থেকে পুষ্টিকর রান্না করা খাবার এবং দুধ দেওয়া হয়। সরকারি নির্দেশিকায় আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত শুধু মাত্র চাল ও আলুই বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক পি উলগানাথন বলেন, ‘‘করোনা-সঙ্কটে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা নিজেদের এলাকার বাসিন্দাদের উপর নজর রাখবেন।’’ জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কথায়, ডিম ও পুস্টিকর পাউডার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে মজুত থাকবে। পরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে তা উপভোক্তাদের বিলি

করা হবে।

Coronavirus Health
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy