এলাকায় পুলিশি নিরাপত্তা। ছবি: প্রসেনজিৎ সাহা।
তৃণমূলের অন্তর্কলহের জেরে গোসাবা গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন স্থগিত ছিল দীর্ঘ দিন। পঞ্চায়েত ভোটের পরে বেশ কয়েক মাস কেটে গেলেও প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। শুক্রবার উচ্চ আদালতের নির্দেশে অবশেষে পুলিশি নিরাপত্তায় প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধান হয়েছেন তাপস বিশ্বাস, উপপ্রধান নিভা গিরি জানা।
গোসাবা পঞ্চায়েতে ১৮টি আসন। গত পঞ্চায়েত ভোটে ১টি আসন বিজেপি পায়, ৪টি নির্দল ও ১৩টি আসন পায় তৃণমূল। তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকলেও নির্দল প্রার্থীরা প্রধান হওয়ার দৌড়ে ছিলেন। দলের টিকিট না পেয়ে তাঁরা নির্দল হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
এই পরিস্থিতিতে গোসাবার প্রাক্তন প্রধান তথা নির্দল প্রার্থী বিকাশ নস্কর ও বর্তমান অঞ্চল সভাপতি কৈলাস বিশ্বাস— দু’জনের দুই গোষ্ঠী তৈরি হয়। কৈলাসের দাবি ছিল, দলীয় প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা যখন পেয়েছেন, তখন কোনও ভাবেই নির্দলদের প্রধান করা যাবে না। অন্য দিকে, বিকাশ ও তাঁর অনুগামীরা প্রধান-উপপ্রধান পদ পেতে মুখিয়ে ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে এলাকায় চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়। বোর্ড গঠনে অশান্তি হতে পারে, এই আশঙ্কায় বোর্ড গঠন স্থগিত রাখে প্রশাসন। হাই কোর্টের নির্দেশে শুক্রবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় অবশ্য বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নেই হয়েছে। কৈলাসের অনুগামীরাই পদ পেয়েছেন।
কৈলাস বলেন, “দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও নির্দল, বিজেপিরা বোর্ড গঠন করবে— সেটা মানতে পারিনি। দলকে জানিয়েছিলাম। দলের নির্দেশেই প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।”
অন্য দিকে বিকাশ-অনুগামী সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, “আমাদের কয়েক জন পঞ্চায়েত সদস্যকে দলীয় কার্যালয়ে তালা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল। বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে দেওয়া হয়নি। আমরা ফের হাই কোর্টের কাছে আবেদন জানাব, পুনরায় বোর্ড গঠন করার জন্য।” যদিও অভিযোগ মিথ্যা বলেই দাবি করেছেন গোসাবা ব্লক তৃণমূল নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy