রুপোলি শস্য: ইলিশ মেলায় খুশি মৎস্যজীবীরা। ছবি: দিলীপ নস্কর।
গত তিন বছর সমুদ্রে ইলিশ ধরতে গিয়ে কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল মৎস্যজীবীদের। এবার অবশ্য মরসুমের শুরু থেকেই পরিস্থিতি বদলের ইঙ্গিত মিলছে। দিনকয়েক আগে মাছ ধরার মরসুম শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারই প্রচুর ইলিশ নিয়ে বেশ কয়েকটি ট্রলার কাকদ্বীপের ঘাটে ফিরেছে। তিন বছরের খরা কাটিয়ে মরসুমের শুরুতেই ইলিশ মেলায় খুশি মৎস্যজীবী থেকে ট্রলার মালিকেরাও। খুশি ইলিশপ্রেমী বাঙালিও।
মৎস্যজীবীরা জানান, গত তিন বছর সমুদ্র থেকে প্রায় খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। ইলিশ না মেলায় মৎস্যজীবী ও ট্রলার মালিকদের ক্ষতির বহর বাড়তে থাকে। ফলে মাছ ধরতে যাওয়ার প্রতিই অনীহা তৈরি হয় একাংশের। গত মরসুমের মাঝামাঝি থেকে অনেক ট্রলার মালিক সমুদ্রে ট্রলার পাঠানো বন্ধ করে দেন। এবার মরসুমের শুরুতেও অনেকে ট্রলার নামাননি। কাকদ্বীপ, নামখানার দশমাইল, ফ্রেজারগঞ্জ, সাগর দ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, বাসন্তী, রায়দিঘি, কুলতলি, ডায়মন্ড হারবার-সহ বিভিন্ন মৎস্য বন্দর ও ঘাট থেকে প্রায় হাজার দু’য়েক ট্রলার সমুদ্রে পাড়ি দেয়।
তার মধ্যেই গোটা তিনেক ট্রলার বৃহস্পতিবার কাকদ্বীপের ঘাটে ফেরে। স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রতিটি ট্রলার এক থেকে দেড় টন করে ইলিশ নিয়ে ফিরেছে। খুব বড় ওজনের মাছ অবশ্য মেলেনি। বেশির ভাগ মাছেরই ওজন ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। মোটামুটি ৫০০ টাকা প্রতি কেজি দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে সেই মাছ। ইলিশ ছাড়াও চিংড়ি, পমফ্রেট-সহ অন্যান্য সামুদ্রিক মাছও মিলেছে। মৎস্যজীবীরা জানান, পুবালি বাতাস, ঝির-ঝিরে বৃষ্টি, জলের স্রোত, রং ও তাপমাত্রার উপর মাছ পাওয়া অনেকাংশে নির্ভর করে। সে সব বিচারে এবার পরিস্থিতি অনুকূল বলেই দাবি তাঁদের। ফলে আগামিদিনে আরও মাছ মিলবে বলে আশা করছেন তাঁরা।
কাকদ্বীপ সুন্দরবন সামুদ্রিক মৎস্যজীবী শ্রমিক ইউনিয়নের সম্পাদক তথা ট্রলার মালিক সতীনাথ পাত্র বলেন, “গত তিন বছর ট্রলার সমুদ্রে পাঠিয়ে প্রতিবারই লোকসান হয়েছে। এবারে তাই পাঁচটি ট্রলারের মধ্যেদু’টি ট্রলার সমুদ্রে পাঠিয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যে ফিরবে তারা। যা পরিস্থিতি, এবারে মাছ মিলবে বলে আশা করছি। কারণ নদীর খাঁড়িতে ছোট মাছ দেখা যাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy