Advertisement
E-Paper

সন্দেশখালিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে সাক্ষীর গাড়ির দুর্ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্ত, সংগ্রহ হচ্ছে ফরেন্সিক নমুনা

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভোলার পরিবারের তরফে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে পরিবারের দাবি, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনামাফিক হামলা হয়েছে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৯
(বাঁ দিকে) শাহজাহান শেখ। (ডান দিকে) সাক্ষী ভোলা ঘোষ। পিছনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি।

(বাঁ দিকে) শাহজাহান শেখ। (ডান দিকে) সাক্ষী ভোলা ঘোষ। পিছনে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

ভোলা ঘোষের গাড়িতে কী ভাবে ধাক্কা লাগল ট্রাকের, সেই উত্তর এখনও অধরা। অধরা ঘাতক ট্রাকের চালকও। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বৃহস্পতিবার সকালে সন্দেশখালিতে পৌঁছোন ফরেন্সিক আধিকারিকেরা। ফরেন্সিক আধিকারিকদের পাঁচ জনের এক প্রতিনিধিদল ঘাতক ট্রাক এবং ভোলার গাড়ি খতিয়ে দেখেন। সেগুলি থেকে আঙুলের ছাপ এবং অন্য নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা।

বুধবার ট্রাক এবং ভোলার গাড়ির সংঘর্ষের পরে দু’টি গাড়িকেই উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি পেট্রল পাম্পে রেখে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সেই পাম্পে গিয়েই গাড়িগুলি খতিয়ে দেখে ফরেন্সিক দল। সূত্রের খবর, গাড়িগুলির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ খতিয়ে দেখা হয়। পাশাপাশি গাড়িতে লেগে থাকা মাটি, স্টিয়ারিংয়ে আঙুলের ছাপ এবং সংঘর্ষের ফলে যে দাগগুলি গাড়িতে তৈরি হয়েছে— সেগুলিও খতিয়ে দেখা হয়।

ভোলার গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কা ঘিরে ইতিমধ্যে বেশ কিছু প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে— তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ইডির উপর শাহজাহান শেখের অনুগামীদের হামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলা। বুধবার আদালতেই যাচ্ছিলেন শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলার অন্যতম ওই সাক্ষী। তার আগেই এই পথ দুর্ঘটনা ঘিরে বিস্তর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বুধবার সকালে ভোলার চার চাকার গাড়ি বাসন্তী হাইওয়েতে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে গাড়িটি। লরিটিও জলে পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়িচালক এবং ভোলার কনিষ্ঠ পুত্রের। দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভোলাও। দুর্ঘটনাস্থল থেকে রাতেই ট্রাক এবং গাড়িটি উদ্ধার করে নিকটবর্তী একটি পাম্পে নিয়ে যায় পুলিশ। নয়ানজুলির যে অংশে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল, সেই অংশটিও দুর্ঘটনার পর থেকে ফিতে, গার্ডরেল এবং গাছের গুঁড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে দেখা যায়, ওই ঘিরে রাখা অংশ থেকে ফিতে বা অন্য সরঞ্জাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ভোলার পরিবারের তরফে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ জানানো হয়নি। তবে পরিবারের দাবি, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনামাফিক হামলা হয়েছে। কারণ, বুধবার আদালতেই যাচ্ছিলেন শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের মামলার অন্যতম ওই সাক্ষী। যদিও বুধবার দুপুর পর্যন্ত ‘পরিকল্পনামাফিক হামলা’র কোনও লিখিত অভিযোগ বসিরহাট পুলিশ পায়নি বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের এক কর্তা।

Sandeshkhali Incident Sheikh Shahajahan sandeshkhali
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy