মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত ভাঙড়। মঙ্গলবার সকাল থেকে ভাঙড়ের হাটগাছা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশ এবং শাসকদলের নেতাকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়েরা। অন্য দিকে, ভাঙড়ের ভোপালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এক তরুণীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এক যুবক। সেই নিয়ে দু’পক্ষ বচসায় জড়িয়েছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশবাহিনী। কিন্তু উত্তেজিত জনতা পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে পুলিশের গাড়ি আটকে রাখা হয়। দাবি ওঠে, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে এবং ‘নির্যাতিতা’র পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এই অবস্থায় ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা এলাকার তৃণমূল নেতা অষ্টপদ নস্কর। তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়েরা। অভিযোগ, প্রশাসন এবং শাসকদল মিলে এই ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
এর পর ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী বাহিনী পাঠানো হয়। কিন্তু এখনও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যাতে পুনরায় অশান্তি না হয়, সে জন্য পুলিশি টহলদারি চলছে।
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, গত সোমবার রাতে আইএসএফ এবং তৃণমূলকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক মারধরের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় ভোগালি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ভুমরু গ্রামে। মারামারিতে দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, দীপাবলির রাতে বাজি পোড়ানোকে কেন্দ্র করেই বচসা শুরু হয় দুই রাজনৈতিক দলের কর্মীদের মধ্যে। তৃণমূলের দাবি, রব্বানি মোল্লা, সাবির মোল্লা, নবাব মোল্লা ও সাহিদ মোল্লা প্রমুখ তাদের দলীয় কর্মীরা বাজি পোড়াচ্ছিলেন। সেই সময় আইএসএফ কর্মীরা আপত্তি করেন এবং তাঁদের দিকে বোমা ছোড়েন। এর পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় হাতাহাতি। আইএসএফের দাবি, তৃণমূলের পক্ষ থেকেই প্রথম হামলা হয়েছিল। তাদের বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।