Advertisement
E-Paper

গোবরডাঙায় গেটই খুলল না এসি লোকাল ট্রেনের! এগিয়ে যাওয়ার পর যাত্রীদের নিয়ে ফের ফিরল স্টেশনে

বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেনটি গোবরডাঙা স্টেশনে থামলেও ট্রেনের গেট খোলেনি। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকার পরে ট্রেনটি রওনা দেয় ঠাকুরনগরের দিকে।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৫ ২০:৩৬
(বাঁ দিকে) এসি লোকাল ট্রেন ফিরে এসে দাঁড়িয়েছে গোবরডাঙা স্টেশনে। ট্রেনের বন্ধ দরজা (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) এসি লোকাল ট্রেন ফিরে এসে দাঁড়িয়েছে গোবরডাঙা স্টেশনে। ট্রেনের বন্ধ দরজা (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ হয়ে রানাঘাটগামী এসি লোকালে বিপত্তি। গোবরডাঙা স্টেশনে খুললই না ট্রেনের দরজা। যাত্রীদের না নামিয়েই ঠাকুরনগরের দিকে এগিয়ে গেল ট্রেন। শেষে গোবরডাঙা এবং ঠাকুরনগরের মাঝখান থেকে আবার ফিরিয়ে আনতে হয় ট্রেনটিকে।

শিয়ালদহ থেকে রওনা দেওয়া ওই ট্রেনটির সন্ধ্যা ৭টা ৩৫মিনিটে গোবরডাঙা স্টেশনে পৌঁছোনোর কথা। বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেনটি গোবরডাঙা স্টেশনে থামলেও ট্রেনের গেট খোলেনি। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নামার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু বেশ কিছু ক্ষণ প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকার পরে ট্রেনটি রওনা দেয় ঠাকুরনগরের দিকে।

তত ক্ষণে ট্রেনের কামরায় কর্তব্যরত আরপিএফ কর্মীরা লোকো পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করে দেন। শেষে বেশ কিছুটা পথ এগিয়ে যাওয়ার পরে ঠাকুরনগর এবং গোবরডাঙার মাঝে থামানো হয় ট্রেনটিকে। তার পরে আবার ফিরিয়ে আনা হয় গোবরডাঙা স্টেশনে। বুধবার সন্ধ্যার ওই সাময়িক বিভ্রাটে যাত্রীদের অনেকেই অসন্তুষ্ট।

শিয়ালদহ থেকে এই ট্রেনে চেপেই রোজ অফিস থেকে বাড়ি ফেরেন রাহুল মিত্র। গোবরডাঙা নেমে ভ্যান বা টোটোয় চেপে বাড়ি পৌঁছোতে হয় তাঁকে। বুধবারের ওই সমস্যার কারণে রেলের পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। রাহুলের কথায়, “এতগুলো টাকা দিয়ে এসি ট্রেনের টিকিট কাটি। একটু আরামে যাব বলেই তো! রেল সারা ক্ষণ কামরার মধ্যে ঘোষণা করে যাচ্ছে, এটা ওদের ‘প্রিমিয়াম’ পরিষেবা। সেই ‘প্রিমিয়াম’ পরিষেবারও যদি এই হাল হয়, তবে তো মুশকিল।”

একই অভিযোগ দমদম ক্যান্টনেমেন্ট থেকে ট্রেনে ওঠা বিশাল দত্তের। তাঁর বক্তব্য, এমন সমস্যা কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা নয়। কয়েক দিন আগেও মধ্যমগ্রাম স্টেশনে যে দিকে প্ল্যাটফর্ম, তার উল্টো দিকের গেট খুলে গিয়েছিল বলে অভিযোগ বিশালের। পরে প্ল্যাটফর্মের দিকের দরজা খোলা হয়। তিনি বলেন, “রোজ হন্তদন্ত করে মেট্রোয় এসে দমদম ক্যান্টনমেন্ট থেকে ট্রেনটা ধরি। ফাঁকায় ফাঁকায় বসে যেতে পারব বলে বেশি টাকা খরচ করি। কিন্তু রোজ রোজ এমন চললে হবে কী করে!”

AC Trains Local Train
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy